এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: Poll of Polls)
ঘোড়া কেনাবেচার রেট বেড়েছে, রাজস্থানে এ কী ‘তামাশা’ চলছে! বন্ধ করুন প্রধানমন্ত্রী, সরব গহলৌত
সচিন পায়লট ও তাঁর অনুগামী ১৮ কংগ্রেস বিধায়ক দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করায় রাজ্য-রাজনীতিতে অস্থিরতা, সঙ্কটের সূচনা হয়। পায়লট উপ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন।
জয়শলমীর: রাজস্থানের চলতি রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থতির মধ্যেই কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকারকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের। ১৪ আগস্ট বিধানসভা অধিবেশনের আগে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ বা হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কায় জয়পুর থেকে অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের তিনি সরিয়ে দিয়েছেন জয়শলমীরে। সেখানেই তিনি তাঁদের সঙ্গে পড়ে রয়েছেন। আজ সেখান থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেছেন, রাজস্থানে এসব কী তামাশা চলছে, বন্ধ করতে ওনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ঘোড়া কেনাবেচায় বিধায়কদের রেট বেড়ে গিয়েছে। এটা কোন ধরনের তামাশা! প্রধানমন্ত্রী এটা বন্ধ করুন। মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসী তাঁকে দেশ চালানোর সুযোগ দিয়েছে। উনি মানুষকে হাততালি দেওয়া থেকে থালা বাজানো-সব করেছেন। লোকে ওনাকে বিশ্বাস করছে। এটা বড় ব্যাপার। রাজস্থানে নাটকের শেষ করুন উনি। ওরা বিধানসভা অধিবেশনের আগে বিধায়ক কেনাবেচার রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। এই নাটকবাজি কীসের?
সচিন পায়লট ও তাঁর অনুগামী ১৮ কংগ্রেস বিধায়ক দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করায় রাজ্য-রাজনীতিতে অস্থিরতা, সঙ্কটের সূচনা হয়। পায়লট উপ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন। সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার অভিযোগের তদন্তে যোগ দিতে গত মাসে পায়লটকে নোটিস পাঠানো হয়। তখন থেকেই তিনি বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন।
গত ১৩ জুলাই থেকে গহলৌত শিবিরের কংগ্রেস ও অন্য সমর্থনকারী বিধায়করা জয়পুরের এক হোটেলে ছিলেন। এক পক্ষকাল বাদে শুক্রবার তাঁদের জয়শলমীরে সরানো হয়। ১৪ আগস্ট বিধানসভা অধিবেশন বসলে আস্থভোটে শক্তিপরীক্ষা দিতে চান বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন গহলৌত। তারপরই ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০০ অনুগামীকে জয়শলমীরের রিসর্টে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন গহলৌত। গহলৌতের দাবি, পায়লটের বিদ্রোহের পিছনে বিজেপি আছে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতেরও ইস্তফা চান তিনি। জয়পুরের এক আদালত সঞ্জীবনী ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইটি দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বলে সওয়াল করে গহলৌত বলেন, নৈতিক কারণেই এরপর ওনার পদত্যাগ করা উচিত। গহলৌত আরও বলেন, অডিওটেপেই শোনা গিয়েছে যে, উনি বিধায়ক কেনাবেচায় জড়িত। মন্ত্রী পদে থাকার কোনও অধিকার নেই ওনার।
এদিকে বিজেপি গহলৌতের অনুগামীদের জয়শলমীরের রিসর্টে সরানোকে কটাক্ষ করেছে। রাজস্থান বিজেপির প্রধান সতীশ পুনিয়া বলেছেন, জয়শলমীরের ওপারেই পাকিস্তান। এপারে গুজরাত (বিজেপি শাসিত)। তাহলে কোথায় যেতে চান? মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়কদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
খবর
জেলার
জেলার
Advertisement