Kiren Rijiju : লখিমপুর খেরির সঙ্গে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার তুলনা হয় না, দাবি কেন্দ্রীমন্ত্রীর
বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে শাসকদল নিজেদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিচ্ছে, তোপ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
শিলিগুড়ি : উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনাকে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। কারণ, প্রথমটা একটা দুর্ঘটনা, কিন্তু, পরেরটা পরিকল্পিত। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
বিজেপি নেতার আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ব্যবস্থা নিজের কাজ করছে না। বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে শাসকদল নিজেদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিচ্ছে। শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে যেটা ঘটেছে সেটা দুর্ঘটনা। রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করবে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল পরিকল্পিত হিংসা চালাচ্ছে। এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা হয় না।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কয়েকজন কৃষককে গাড়িতে পিষে ও গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গোটা ঘটনায় চার কৃষক সহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভরত কৃষকরা এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মন্ত্রীপুত্রের দলবলই কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে হামলা করেছে। পাল্টা কৃষক বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে তাদের দলের ৩ কর্মী ও এক চালককে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম দাবি করা হয়েছিল যে, ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে। আন্দোলনকারী কৃষকদের এই দাবি মেনে অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হত্যা, অনিচ্ছাকৃত হত্যা, দুর্ঘটনা সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দোষীদের গ্রেফতার না হওয়ার পর্যন্ত মৃতদের শেষকৃত্য করা হবে না। উল্লেখ্য, এই হিংসার ঘটনায় চার কৃষক সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই মামলায় গত ১৮ জুন হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১৩ জুলাই কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। রিপোর্টে রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাল্টা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টকে মিথ্যে, পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটি। যার নেপথ্যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল।