রিয়া আনতে বলতেন ভাইকে, সৌভিকের নির্দেশেই সুশান্তের জন্য ড্রাগ কিনতেন, কবুল ধৃত স্যামুয়েল মিরান্ডার
"রিয়ার সঙ্গে সরাসরি ড্রাগ কারবারিদের সম্পর্ক ছিল না, তবে ৪-৫ জনের সঙ্গে পরিচয় ছিল সৌভিকের..."
মুম্বই: সুশান্তের জন্য ড্রাগ কিনেছিলাম, কবুল ধৃত স্যামুয়েল মিরান্ডার। ‘ভাই সৌভিককে ড্রাগ আনার কথা বলতেন রিয়া। সৌভিকের নির্দেশে ড্রাগ আনতেন স্যামুয়েল মিরান্ডা।’ জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে তথ্য, খবর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(এনসিবি) সূত্রে।
জানা গিয়েছে, ‘৪-৫ জন ড্রাগ কারবারির সঙ্গে সম্পর্ক সৌভিকের। রিয়ার সঙ্গে সরাসরি ড্রাগ কারবারিদের সম্পর্ক ছিল না। কতটা ড্রাগ কেনা হয়েছিল, খতিয়ে দেখছে এনসিবি।
এর আগে, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে হেফাজতে নেয় এনসিবি। একইসঙ্গে এনসিবি হেফাজতে নেয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যনেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই সৌভিকের বাড়িতেও আজ আলাদাভাবে তল্লাশি চালায় এনসিবি। সুশান্তি সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে ড্রাগ অ্যাঙ্গেল খতিয়ে দেখছে এনসিবি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, রিয়ার সঙ্গে তাঁর ভাই সৌভিকের একটি চ্যাট সামনে আসে। ওই চ্যাটে রিয়া সৌভিককে ড্রাগ এনে দেওয়ার কথা বলেছেন। এদিন ধৃত মিরান্ডা ও সৌভিককে এই নিয়েই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে এনসিবি কর্তারা।
শুধু তাই নয়, তদন্তকারীদের দাবি, সৌভিকের একটি চ্যাটের সূত্রে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন মাদক কারবারীর যোগাযোগের বিষয়টি সামনে এসেছে। এই প্রেক্ষিতেই আজ রিয়া ও সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি এনসিবি-র।
এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। ধৃতদের নাম -- আব্বাস রামজান আলি লখানি, করণ অরোরা, জায়েদ ভিলাত্রা, কাইজান ইব্রাহিম এবং আব্দুল বাসিত পরিহার।
আব্দেল বাসিত পারিহারকে শুক্রবার আদালতে পেশ করে এনসিবি। তারা আদালতে দাবি করে, পারিহার তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর নির্দেশে জায়েদ বিলাত্রা এবং কৈজান ইব্রাহিমের কাছ থেকে ড্রাগ কিনতেন।
এনসিবি আদালতে আরও দাবি করেছে, অভিযুক্তের কথা থেকেই স্পষ্ট সে এক বড় ড্রাগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। সে আরও অনেক প্রভাবশালীর নামও জানিয়েছে। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, সুশান্তের মৃত্যুতে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে তিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরা হল -- ইডি, সিবিআই এবং এনসিবি। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তছরুপের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ইডি। সুশান্তের মৃত্যুতে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তার তদন্ত করছে সিবিআই। আর এই ঘটনায় যে ড্রাগ অ্যাঙ্গল উঠে এসেছে, তার শিকড় খুঁজছে এনসিবি।
ইতিমধ্যে সিবিআই এবং ইডি দফায় দফায় রিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার ড্রাগ অ্যাঙ্গলের তদন্তে রিয়ার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনসিবি।