Bangladesh News: ‘বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানের ISI, ইউনূসের ঘাড়ে পা জামাতের’, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন আসাদুজ্জামান
Asaduzzaman Khan Kamal Exclusive: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে।

কলকাতা: বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে মহম্মদ ইউনূস সরকারের দহরম মহরম ঘিরে বাড়ছিল উদ্বেগ। বর্তমানে সেই আশঙ্কা সম্ভাবনায় পরিণত হয়েছে। ভারতের মাটিতে পর পর যে সন্ত্রাস নেমে আসছে, তাতে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে চলছে কাটাছেঁড়া। এবার সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন বাংলাদেশেরই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হাসিনার সঙ্গেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনা আসাদুজ্জামান খান কামাল। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI সেখানে ইতিমধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে, জামাতই ছড়ি ঘোরাচ্ছে বলে দাবি করলেন তিনি। (Asaduzzaman Khan Kamal Exclusive)
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। সেই নিয়ে এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন আসাদুজ্জামান। ভারতের বুকে ক্রমবর্ধমান নাশকতার ঘটনায়, বাংলাদেশের মাটিকে ব্য়বহার করা হচ্ছে কি না, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। কোনও লুকোছাপা না করে, সেই সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা উস্কেই দিয়েছেন তিনি। (Bangladesh News)
ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার নিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের সময় স্পষ্ট বলেছিলাম, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসীদের আস্তানা হতে দেব না। আমাদের এক ইঞ্চি জমিতে বসে অন্য দেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাবে, বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেবে, তা হতে দেব না। জঙ্গি সংক্রান্ত কাজে পাকিস্তানের ভূমিকা স্বীকৃত। অনেক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে সেখানে। বাংলাদেশেও গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা। সব গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম আমরা। সবাইকে জেলে ভরেছিলাম। এই সরকার ছেড়ে দিয়েছে সকলকে। আজ প্রকাশ্যে, সদর্পে অফিস চালাচ্ছে তারা, আবার বাহিনী তৈরি করছে। আমি নিশ্চিত, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতে প্রয়োজন পড়লেও পাঠাবে।”
আমি একটা কথা বলছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কী নীতি ফলো করেছি? দুর্নীতি, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলাব়্যান্স নীতি নিয়েছিলাম। স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসীদের আস্তানা হতে দেব না। আমাদের এক ইঞ্চি জমিতে বসে অন্য দেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাবে, বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেবে, তা হতে দেব না। পাকিস্তানের মদত আছে কি না বলছেন। জঙ্গি সংক্রান্ত কাজে পাকিস্তান স্বীকৃত। অনেক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে সেখানে। বাংলাদেশেও গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা। সব গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম আমরা। সবাইকে জেলে ভরেছিলাম। এই সরকার ছেড়ে দিয়েছে সকলকে। আজ প্রকাশ্যে, সদর্পে অফিস চালাচ্ছে তারা, আবার বাহিনী তৈরি করছে। যেখানেই প্রয়োজন নিয়ে যাবে বলে এসব করছে। আমি নিশ্চিত, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতে প্রয়োজন পড়লেও পাঠাবে।”
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পরই পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সখ্য বেড়েছে। পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকদেরও যাতায়াত বেড়েছে সেখানে। সেই নিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, “আজ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জেনারেল সাহেবরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে আসছে। পাকিস্তানের যে গোয়েন্দা সংস্থা, ISI বাংলাদেশে অফিস করে কাজ করছে। ক্যান্টমেন্টের ভিতরেই তাদের অফিস বলে শুনছি।” বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় গত বছর, তাতে পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল বলে নিশ্চিত আসাদুজ্জামান। আমেরিকার ভূমিকার কথা জানতে চাইলে জানান, অগ্রভাগে ছিল পাকিস্তান। বাকি আর কিছু বলতে চান না তিনি।
শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলামি সর্বেসর্বা হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছেন আসাদুজ্জামান। এমনকি ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হলেও, তাঁর হয়ে জামাতই ছড়ি ঘোরাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। আসাদুজ্জামান বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল। তার সঙ্গে অনেকে যুক্ত হয়েছে, যেমন, যারা ইউনূসের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেই জামাত ইসলাম। হিন্দ-ই-তেহরিকের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের লোকগুলি। গোটা বিশ্বে তারা নিষিদ্ধ। তারাই এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইউনূস তাদের প্যাট্রোনাইজ করেছেন, তাদের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন, যা তিনি বীরদর্পে আমেরিকায় বলেছেন, পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকে উপদেষ্টাদের একজন বলেছেন। ইউনূসের পরিকল্পনা ছিল, ১/১১-এর সময় একটা নতুন দল তৈরি করে, মাইনাস টু ফর্মুলা অর্থাৎ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা ছিল। বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। এবার পরিকল্পিত ভাবে, বহির্শক্তির সহযোগিতায় তিনি এসেছেন। ইউনূস কখনও দেশের বন্ধু হতে পারেন না। তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। এখন দেশবিরোধী কাজকর্ম করছেন। বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বন্দর নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী কখনও চট্টগ্রাম পোর্ট কাউকে দেননি, ইউনূস দিয়ে দিয়েছেন। ইউনূস যা করার করেছেন, এখন জঙ্গি সংগঠন জামাত ক্ষমতায় আসতে তাঁর ঘাড়ে পা রেখেছে।” সম্প্রীতির বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।























