অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সুদীপ চক্রবর্তী, কলকাতা: অক্টোবরের শুরুতেই ত্যাগ করেছিলেন গেরুয়া শিবির। এবার মাসের শেষে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আজ তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 


কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলের যোগদানের পিছনে কারণ কী? তাঁর কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাঁর উন্নয়ন দেখেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।' তাঁর দাবি, 'বিজেপিতে ভাল কাজের মূল্যায়ন নেই। বিজেপির জন্য এত কিছু করেও আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।'


অন্যদিকে গোটা ঘটনায় পাল্টা কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, 'অনেকদিনই দলের সঙ্গে ওঁর তেমন যোগাযোগ ছিল না। আগেই দলের কাজকর্মে থাকবেন না বলে দিয়েছিলেন। তাছাড়া উনি বড় ব্যবসায়ী। পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা করতে হলে কী করতে হয় সকলেই জানে। কেন তৃণমূলে গেছেন তা রায়গঞ্জের জনগণ জানেন। আগামী দিনে উত্তরও পাবেন। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ১০ বছরে কেন অনুপ্রাণিত হলেন না। শেষ ৬ মাস বা ৩ মাসে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো কি দেখলেন?'


আরও পড়ুন: Tripura : ত্রিপুরায় দলের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে তৃণমূল, ৩১-এ সভা অভিষেকের


প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোটের মুখে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পদ্মশিবিরে যোগদানের পর তাঁকে রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। ২০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় তাঁর। প্রকাশ্যেও বেশ কয়েকবার নাম করে আবার কখনও নাম না করে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


আরও পড়ুন: Babu Master quits BJP: বিজেপি ছাড়লেন বাবু মাস্টার, মমতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা, উসকে দিলেন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা