সাপের উপদ্রব, খসে পড়ছে চাঙড়; পশ্চিম বর্ধমানে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির পরিত্যক্ত ঘর
একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরকে ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে কাঁকসার জামদোহাতে
কাঁকসা: একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরকে ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে কাঁকসার জামদোহাত এলাকায়। আগাছায় ভর্তি ভগ্নপ্রায় ওই ঘরে প্রায়ই খেলতে যায় শিশুরা। বাবা-মায়েদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় কোনও বিপদ। উল্লেখ্য, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘর ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা এবং শিশুর বিকাশ, তার জন্যই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। কিন্তু, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার ছবিটা অন্য। ৭০ নম্বর জোমাদোহার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে ঘিরে এখন হানাবাড়ির আতঙ্ক। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরে খসে পড়ছে চাঙড়। আগাছায় ভরে গিয়েছে চারপাশ। ভিতরে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল।
পরিত্যক্ত ঘর। দেওয়ালে ফাটল। এরপর স্কুল খুলবে। বাচ্চারা আসবে। এখনই খেলতে আসে। এত জঙ্গল হয়ে গিয়েছে সাপের উপদ্রব। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ৭০ নম্বর জামদোহা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। একেবারে লোকালয়ে অবস্থিত। শিবপুর থেকে জামদোহা যাওয়ার রাস্তার পাশেই রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। পরিত্যক্ত পুরনো ঘরের পাশে গড়ে উঠেছে নতুন ঘর। খেলতে খেলতে প্রায়শই ওই পরিত্যক্ত ঘরে ঢুকে পড়ে শিশুরা। আর তাতেই বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বাবা-মায়েরা।
স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম ডোম বলছেন, খুব খারাপ অবস্থায় আছে অঙ্গনওয়াড়ির ঘরটা। এর পাশ দিয়ে সবার যাতায়াত। বাচ্চারা খেলাধূলা করে। সবাইকে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। করোনাকালে এক বছরের বেশি সময় ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ। আর তাতেই আরও ভয়ানক চেহারা নিয়েছে পরিত্যক্ত ঘর। গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তা ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
বিদবিহার গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিনহা আশ্বাস দিয়ে জানান, 'বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এ বিষয়ে পঞ্চায়েতে অভিযোগও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পরিত্যক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর যাতে ভেঙে ফেলা হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।'
এলাকাবাসীর দাবি, যত শিগগিরই সম্ভব পরিত্যক্ত ঘর ভেঙে ফেলে বিপদমুক্ত করা হোক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চত্বর।





















