BJP Worker Death: সিতাইয়ে মৃত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সায়ন্তন বসু, নিশীথ প্রামাণিকরা
Agitation against BJP leaders in Cooch Behar: বাংলা তো নয়, যেন বাংলাদেশ! ক্ষোভ উগরে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সিতাই: রাজার জেলায় রাজনৈতিক সংঘাত চলছেই। কোচবিহারে তৃণমূল-বিজেপি অশান্তি অব্যাহত। এরই মধ্যে কোচবিহারের সিতাইয়ে মৃত দলীয় কর্মীর বাড়ি যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি নেতারা। তুমুল বিক্ষোভে ফিরতে হল সায়ন্তন বসু, নিশীথ প্রামাণিকদের। বাংলা তো নয়, যেন বাংলাদেশ! ক্ষোভ উগরে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের। অশান্তি পাকাতে কোচবিহারে এসেছেন কলকাতার নেতা, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের।
গত ৩০ মে সিতাইয়ের হোকদাহ আদাবাড়ি গ্রামে অনিল বর্মণ নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাগানের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। সেইমতো আজ দলীয় নেতৃত্ব মৃতের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই কালো কাপড় ও ঝাঁটা দেখিয়ে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। লাগাতার বিক্ষোভের মুখে বিজেপি নেতাদের শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে হয়।
রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমরা কোন দেশে আছে বুঝতে পারছি না। এটা কি বাংলাদেশ? মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ঢুকে গিয়েছি। হাতে গোনা ১৫ জন আটকে দিল কালো পতাকা দেখিয়ে। পুলিশ নীরব দর্শক। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এটা কি গণতন্ত্র?’
পাল্টা সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার দাবি, ‘পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই বিজেপি কর্মী। তাতে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই সাধারণ গ্রামবাসী তাদের ঢুকতে দেয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।’
এদিন সিতাই যাওয়ার আগে দিনহাটা বিধানসভার বুড়িরহাট এলাকায় যান বিজেপি নেতারা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই বুড়িরহাটে তাঁদের কর্মী সমর্থকরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সায়ন্তন দাবি করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রক্তের সিংহাসনে বসে আছেন। একদিন না একদিন তিনি তার জবাব পাবেন।’
পাল্টা কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ‘সায়ন্তন বসু এই ধৃষ্টতা কোথা থেকে পায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মানুষ বিপুল ভোটে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছেন। সায়ন্তনবাবুর দলের দিল্লির নেতারা মিথ্যে কথা বলছেন। মমতার বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। অশান্তি পাকাতে কোচবিহারে আসছে সব।’
ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে ভোট পর্রবর্তী সময়, শাসক-বিরোধী সংঘাতে টানা তেতে রয়েছে কোচবিহার।