SSC: ‘সিবিআইকে তদন্ত করতে বলব’ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ মামলায় এসএসসি-র সচিবকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের
High Court on SSC: উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে তদন্তের আর্জি রাজ্যের।তদন্তে আরও সময় চাইলেন এসএসসি-র আইনজীবী কিশোর দত্ত। দুপুর ৩ টা পর্যন্ত কমিশনকে সময় দিল হাইকোর্ট
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র সচিবকে তীব্র ভর্ত্সনা কলকাতা হাইকোর্টের।স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি-মামলায় ভর্ত্সনা এসএসসি (SSC) সচিবকে তিরস্কার করল আদালত (High Court)। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘আপনাদের উপর আমাদের ভরসা নেই।আপনারা কি তদন্ত করবেন আমি জানি।রোজই কিছু না কিছু অনিয়ম সামনে আসছে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করতে বলব।সিআইএসএফ-কে বলব আপনাদের অফিসের দখল নিতে।পুরো কমিশন বরখাস্ত করে দেব। নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতি চলতে পারে না’। নিয়োগের চিঠি কি কমিশনের আঞ্চলিক অফিস থেকে?’কমিশনের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট
উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে তদন্তের আর্জি রাজ্যের।তদন্তে আরও সময় চাইলেন এসএসসি-র আইনজীবী কিশোর দত্ত। দুপুর ৩ টা পর্যন্ত কমিশনকে সময় দিল হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গতকালই গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় মামলায় SSC-কে CBI তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ থেকে ১৯-এর মধ্যে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় SSC।সময়সীমা পেরনোর পরেও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছে। এই অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গতকাল মামলার শুনানিতে কমিশনের সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে, মামলার তদন্তভার CBI-কে দেওয়া হতে পারে বলে SSC-কে সতর্ক করে দেয় হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আদালতে আইনি জট কাটলে ২ মাসের মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। বিধানসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা জানতে চান, রাজ্য সরকার এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করবে কবে? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আদালতে জট কেটে গেলে, আগামী দুমাসের মধ্যে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে SSC-তে।
২০১৪ সালে টেট-এর পর ৭ বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ এখনও আইনি জটিলতায় আটকে। চলতি বছর জুন মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশন মেধাতালিকা প্রকাশ করে। অস্বচ্ছতার অভিযোগে তা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট।
পরে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার পরেও মেধাতালিকায় নাম না থাকার অভিযোগ ওঠে ভুরি ভুরি। কলকাতা হাইকোর্টেরও নির্দেশ SSC-কে সবার অভিযোগ শুনতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আইনি জট কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় রাজ্য।