Murshidabad: এবার অধীর গড়ে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন হরিহরপাড়ার কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি
দলবদল নিয়ে দলত্যাগী নেতাকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, জেলা কংগ্রেসের অনেকেই তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: এবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। তাঁর দাবি, সময়ের ডাকেই দলবদল করলেন। এনিয়ে সদ্য দলত্যাগী নেতাকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
অধীর চৌধুরীর গড়ে কংগ্রেসে ফের ভাঙন।এবার দল ছাড়লেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর আলমগির পলাশ।অনুগামীদের নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এবার বিধানসভা ভোটে হরিহরপাড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন মীর আলমগির।সূত্রের খবর, ফলপ্রকাশের পর ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের প্রশংসা করেন তিনি।এর কিছুদিন পরই হরিহরপাড়ার ব্লক সভাপতির পদ থেকে আলমগিরকে অপসারিত করে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।আর এবার দলবল নিয়ে শাসক দলে নাম লেখালেন মীর আলমগির পলাশ।
দলবদল নিয়ে দলত্যাগী নেতাকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, জেলা কংগ্রেসের অনেকেই তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এবারের ভোটে গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদও খালি হাতে ফিরিয়েছে কংগ্রেসকে। একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস বা তার জোট সঙ্গীরা। অন্যদিকে,মুর্শিদাবাদে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। পার্শ্ববর্তী জেলা মালদার মতো মুর্শিদাবাদেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস।
রাজ্য ভোটের আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের পর উল্টো স্রোত। বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদে অধীর গড়েও ভাঙন ধরাল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূল যোগ দিয়েছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। সেই অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে আমরা বামেদের সঙ্গে লড়াই করছি। মানুষ এটা মেনে নেননি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রোখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লিডারশিপ দেখিয়েছেন, তা মানুষ গ্রহণ করছেন। সিপিএম-কংগ্রেসের জোট ভুল।’