(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
New Town Encounter Update: মোহালি থেকে সুমিত কুমারকে আটক পঞ্জাব পুলিশের
পুলিশ সূত্রে খবর, সুমিত কুমারের নথি ব্যবহার করে সুখবৃষ্টি আবাসনে বাড়ি ভাড়া নেয় ভরত কুমার
কলকাতা: নিউটাউনকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। মোহালি থেকে সুমিত কুমারকে আটক করল পঞ্জাব পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুমিত কুমারের নথি ব্যবহার করে সুখবৃষ্টি আবাসনে বাড়ি ভাড়া নেয় ভরত কুমার। গ্যাংস্টারদের সঙ্গে সুমিত কুমারের কী যোগ ছিল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পঞ্জাব পুলিশের বিশেষ দল গতকাল এসটিএফের সঙ্গে বৈঠক করে। আজ দলটি পঞ্জাব রওনা দেয়।
বুধবার ভরদুপুরে গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে ওঠে, নিউটাউনের সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসন। কয়েক মিনিটেই যুদ্ধক্ষেত্রে বদলে যায় শান্ত আবাসন চত্ত্বর।শিরোনামে উঠে আসে আবাসনের একটা ঘর। B-153 নম্বর টাওয়ারের, ফ্ল্যাট নম্বর 201।এনকাউন্টারের পর এই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকেই মেলে, পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও তাঁর সঙ্গী যশপ্রীত সিং খাড়ারের গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৩ মে থেকে এই আবাসনে আত্মগোপন করেছিল দুই গ্যাংস্টার। কিন্তু, পুলিশ খুন সহ যে জয়পাল ভুল্লারকে ৪০টিরও বেশি মামলায় হন্যে হয়ে খুঁজছিল পাঞ্জাব পুলিশ, সে বাংলায় এসে ফ্ল্যাটভাড়া পেয়েছিল কী করে? ২ গ্যাংস্টার সাপুরজির ফ্ল্যাটে থাকলেও, তাঁদের নামে ফ্ল্যাট নেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, সুমিত কুমারের পরিচয়পত্র দেখিয়েই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ভরত কুমার নামে এক ব্যক্তি।
দুই ব্রোকারের হাত ঘুরে মালিকের হাত থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন এই সুমিত কুমারই। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ওয়েবসাইট মারফত প্রথমে সুমিত কুমার ফ্ল্যাট ভাড়ার জন্য যোগাযোগ করেন ব্রোকার সৌরভ কুমারের সঙ্গে। সৌরভ তাঁকে আরেক ব্রোকার সুশান্ত সাহার ফোন নম্বর দেন। এরপরই হরিয়ানার বাসিন্দা সুমিত যোগাযোগ করেন ব্রোকার সুশান্তর সঙ্গে। তারপর সুশান্তর মারফতই সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনে আকবর আলি নামে এক ব্যক্তির সুমিত কুমারের নথি দিয়ে ভরত কুমার নামে এক ব্যক্তি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় বলে সূত্রের খবর।
এদিকে নিউটাউন শ্যুটআউটকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ফরেন্সিকের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ওই ফ্ল্যাটে তৃতীয়জনের আঙুলের ছাপ মিলেছে। সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভরত কুমারের কি না, মিলিয়ে দেখা হবে। সূত্রের খবর, ওই দিন সুখবৃষ্টি আবাসনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটের বেডরুম থেকেই চলেছিল গুলির লড়াই। দু’ তরফেই গুলি চলার প্রমাণ মিলেছে। দেওয়াল, খাট, আলমারিতে মিলেছে গুলির দাগ। ওই ফ্ল্যাট থেকে এমপি ফাইভ ও গ্লক পিস্তলের প্রচুর খালি কার্তুজ মিলেছে বলে সূত্রের খবর।