Suvendu Adhikari Rally: দলবদলের তিন সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় পদ শুভেন্দুর, 'নতুনরা এলে সোনার সিংহাসন দেবে', কটাক্ষ তৃণমূলের
"ফুটো নৌকায় জল ঢুকছে, আমি তার আগে নেমে পড়েছি", সবংয়ের জনসভায় মন্তব্য বিজেপি নেতার
সবং: বিজেপিতে যোগ দিয়েই পেয়েছিলেন জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা। দলবদলের তিন সপ্তাহের মধ্যে এবার কেন্দ্রীয় পদ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান করা হল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ককে। বস্ত্রমন্ত্রকের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি তা অনুমোদন করে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী অল্প দিনের মধ্যে আমাকে ভরসা করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ।
কেন্দ্রীয় পদ প্রাপ্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা দেখাতে চাইছে পুরনো কর্মীরা নয়, নতুনরা এলে সোনার সিংহাসন দেবে। শুভেন্দু যদি ভুল করে থাকে, তার দায়িত্ব তাঁকে নিতে হবে। উনি তো ছিলেন এতদিন পদে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বিজেপির একের পর এক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বুধবার মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক সবংয়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। শুভেন্দুর অধিকারীর দাবি, বিজেপির জন্য হাওড়ায় জেতেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, গত বিধানসভা ভোটে সূর্যকান্ত মিশ্রর হাত ধরে প্রচার করেন মানস ভুঁইয়া, বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাহার না করলে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ হাজার ভোটে জিততে পারতেন না। ফুটো নৌকায় জল ঢুকছে, আমি তার আগে নেমে পড়েছি।
দলের প্রাক্তন বিধায়ককে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা ব্যক্তি আক্রমণে কখনও যাইনি, শূন্য কলসি বেশি বাজছে, একই কথা বলে চলেছেন। গ্রহণ করছে না মানুষ।
বুধবার সবংয়ের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন ভারতী ঘোষ। সভা থেকে ফের তৃণমূলকে হঠানোর ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, আমফানে দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাটমানি খেয়েছে, প্রতারক সরকারকে উৎখাত করতে হবে, কোন অসুখে কোন ওষুধ দিতে হয় আমরা ভালভাবে জানি।
তাঁকে চড়া সুরে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এতদিন থাকলেন কেন ? এতদিন ভোগ করব, এখন বলব ভোগ করছি না। দল বদলুদের কেউ ভালো চোখে দেখেনা। আসলে নন্দীগ্রাম, মেদিনীপুরের মানুষ তার পাশে নেই। তাই এসব করতে হচ্ছে।
শুক্রবার সবংয়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সভা, পাল্টা সভা ঘিরে উত্তপ্ত জেলা রাজনীতি।