WB Corona LIVE Updates: রাজ্যে ১৪ হাজার ছাড়াল সংক্রমণ, মাস্ক না পরলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
করোনায় কারও মৃত্যু হলে বিনামূল্যে সৎকার, সিদ্ধান্ত সরকারের
কোভিশিল্ডের পর এবার দাম বেঁধে দেওয়া হল কোভ্যাকসিনেরও । কোভিশিল্ডের থেকেও দাম বেশি হল কোভ্যাকসিনের । সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে দাম ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা । বেসরকারি হাসপাতালকে কোভ্যাকসিন কিনতে হবে ১২০০ টাকায় । জানিয়ে দিল কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক ।
এর আগে কোভিশিল্ডও দাম ঘোষণা করে। রাজ্যগুলির জন্য কোভিশিল্ডের দাম ধার্য হয়েছে ৪০০ টাকা । বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিশিল্ড কিনতে হবে ৬০০ টাকায় । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ টাকায় কোভিশিল্ড বিক্রি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই মর্মে নয়া নির্দেশ নবান্নের। মাস্ক না পরলে ও শারীরিক দূরত্ববিধি না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিল নবান্ন।
রাজা হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরল ১৪ হাজার। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় এ রাজ্যে নতুন করে করোনার সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ২৮১ জন । এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭২৮০৬১ । গত বছর এবং এ বছর এ রাজ্যে মোট করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার ৮৮৪ জনের । তার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের ।
শুধু হাসপাতাল থেকেই এবার মিলবে রেমডেসিভির। খোলা বাজারে আপাতত মিলবে না রেমডেসিভির। সব করোনা রোগীর জন্যেই রেমডেসিভির নয়। সংক্রমিত হওয়ার ৫-১০দিন পর্যন্ত দেওয়া যাবে রেমডেসিভির। রেমডেসিভির নিয়ে নতুন নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের । অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে, হাসপাতালে চিকিৎসা নয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে সেফ হোম, বাড়িতেই চিকিৎসা, ষাটোর্ধ্বদের কোমর্বিডিটি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা। সেফ হোমে রাখার ১০দিন পরে ছাড়া হবে রোগীকে’ - করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় নতুন গাইডলাইন স্বাস্থ্য দফতরের
‘করোনার পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেই এবার মিলবে অক্সিজেন। শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলেই অক্সিজেন নয়।’ নবান্নে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্টসচিব-সহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। করোনায় কারও মৃত্যু হলে বিনামূল্যে সৎকার, সিদ্ধান্ত সরকারের।
৮০ জন রোগী ভর্তি, হাতে মাত্র ১ঘণ্টার অক্সিজেন! উত্তর ভারতের পর এবার অক্সিজেন সঙ্কট বাংলাতেও। অক্সিজেন সঙ্কটে মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল। হাসপাতালের ৮০জন রোগীর মধ্যে ৫০জন করোনা আক্রান্ত। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল? অনিশ্চয়তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
‘বেসরকারি হাসপাতালের ৬০ শতাংশ রাখতেই হবে করোনার জন্য’। করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ায় নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের।
ভ্যাকসিন ‘নেই’, এবার টিকাকরণ বন্ধ হল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। কবে ভ্যাকসিন আসবে, জানাতে পারল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভ্যাকসিন নিতে এসে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ।
‘অক্সিজেন সরবরাহ বাধা দিলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।’ রাজধানীতে অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে মামলার শুনানিতে মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের। ‘কে বাধা দিচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহে, একবার বলুক দিল্লি সরকার। কেন্দ্র, রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ বাধা দিলেই মৃত্যুদণ্ড।’ জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মন্তব্য বিচারপতি বিপিন সাংভি ও রেখা পাল্লির বেঞ্চ।
মৃত্যুর পর ১২ ঘণ্টা পার। চাঁদপাড়ায় বাড়িতেই দেহ পড়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর।
‘গতকাল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে চেষ্টা করেও হাসপাতালে বেড মেলেনি। মেলেনি অক্সিজেন এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সও,‘ অভিযোগ পরিবারের। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় প্রাক্তন পুলিশকর্মী দুলালচন্দ্র মজুমদারের। তারপর থেকে বাড়িতেই পড়ে মৃতদেহ। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
‘কোভিড বিধি মানতে কড়া নির্দেশিকা জারি করুন’, মুখ্যসচিব, ডিজি, কলকাতার সিপিকে নির্দেশ দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেন সুশীল চন্দ্র।
কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ১৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার করোনা আক্রান্ত। শুধুমাত্র এনআরএসেই সংক্রমিত ৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।
জলপাইগুড়ির একাধিক হাসপাতালে ভ্যাকসিন সঙ্কট। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে লম্বা লাইন। ভ্যাকসিন না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার বয়স্ক ব্যক্তিরা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করল হাসপাতাল। ধূপগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই ছবি।
করোনা মোকাবিলায় বাসচালক, কনডাক্টর এবং যাত্রীদের সচেতন করতে পথে নামল হাওড়া সিটি পুলিশ। আজ হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ডে বাস থামিয়ে চালক, কনডাক্টর এবং যাত্রীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করেন পুলিশ কর্মীরা।উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি ট্রাফিক অর্ণব দাস।
করোনা আবহে রাজ্যে বেড-সঙ্কটের মাঝেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কড়া বার্তা রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর। স্বাস্থ্য দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মোবাইলে কথা বলছেন করোনা রোগী। এই ছবি একাধিক হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়াই অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে এবং বাড়িতে রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে সিসিইউ অথবা এইচডিইউ-তে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা এবং যাদের জেনারেল ওয়ার্ডেও ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
হাসপাতালে যাঁরা নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে হাসপাতালের সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের সুপার ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সিসিইউ ও ওয়ার্ডে গিয়ে সরেজমিনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে তৎপর পুলিশ। নিউ মার্কেট, লিন্ডসে স্ট্রিট, ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন চত্বরে অভিযান। মাস্ক না পরায় এপর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্মতলাতেও অভিযান চালায় পুলিশ। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন চত্বরে ধরপাকড় চলে। নিউটাউনের সাপুরজি বাজারে করোনা আবহেও সেখানে অসচেতনতার ছবি। কারও থুতনির নীচে মাস্ক, কারোর আবার মাস্ক রয়েছে পকেটে। ক্যামেরা দেখার পর অনেকেই তড়িঘড়ি পরে নিলেন মাস্ক।
শালবনীর করোনা হাসপাতালের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক করোনা আক্রান্ত রোগীর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চিত্তরঞ্জন বেরা। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকায়। প্রবল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শালবনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে ওয়ার্ডে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই ব্যক্তিকে। শনিবার সকালে শালবনী হাসপাতালের পিছন থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফ মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যাক্তি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শালবনি থানার পুলিশ।
রাজ্যেও বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কোভিড বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের নতুন ভবনে চালু হতে চলেছে ১১২ বেডের কোভিড চিকিত্সা কেন্দ্র। এর মধ্যে ৮০টি জেনারেল বেড ও ৩২টি এইচডিইউ। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে নতুন কোভিড চিকিত্সা কেন্দ্রের দায়িত্বে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকরা। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে এই করোনা চিকিত্সা কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করা হয়। এবার লাগামছাড়া সংক্রমণে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, মুকুন্দপুর আমরিতেও বাড়ানো হল কোভিড বেড। মোট ১১০টি কোভিড বেড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আজ প্রথম ধাপে চালু হল ৩০টি কোভিড বেড।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইটারে লেখেন, ভারতে কোভিড-১৯ সেকেন্ড ওয়েভের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই চালানো ভারতের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। প্রতিবেশী দেশে ও বিশ্বে যেখানে যাঁরা এই অতিমারীতে আক্রান্ত, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। মানবসভ্যতার খাতিরে এই বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জকে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা প্রশান্ত কিশোরের। তৃণমূলের ভোট কুশলী ট্যুইটারে লেখেন, ঠিক সময়ে ঠিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভারতের কোভিড পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ। প্রথম ঢেউয়ের সময় কেন্দ্রের খামখেয়ালিপনা ও পরিকল্পনাহীন লকডাউন বহু মানুষের জীবনে দুর্দশা ও বিপর্যয়ের কারণ হয়েছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন, ওষুধ ও হাসপাতালে বেডের অভাব ভাইরাসের থেকেও বেশি মৃত্যুর কারণ হয়েছে। মিল একটাই, সরকারের অদূরদর্শিতা।
জঙ্গিপুর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নামে কার্যত প্রহসন চলছে বলে অভিযোগ। রোগীকে নিজের পরীক্ষা নিজেকেই করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা অনেকেই করোনা আক্রান্ত। সেই কারণেই সমস্যা। রোগীকে কিট দিয়ে সোয়াব পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে।
আজ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সকালেই ট্যুইট করে তিনি জানান, স্ত্রী সুদেশ ধনকড়কে নিয়ে তিনি দ্বিতীয় ডোজ নিতে যাবেন।সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেন জগদীপ ধনকড়।
করোনায় মৃতের পরিবারের হয়রানি কমাতে উদ্যোগ। ‘বাড়িতে করোনা রোগীর মৃত্যুতে সার্টিফিকেট দিতে পারবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক’। করোনা রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি রাজ্যের।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিস্টিক্সের অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিত্সার পরামর্শ দেন চিকিত্সক। আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাড়িতেই ওই অধ্যাপকের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়িতেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ।
ঘুসুড়ির টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে যত্রতত্র ছড়িয়ে পিপিই কিটস। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় রোগীর আত্মীয় পরিজনরা>
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিনের আকাল। ভোর থেকে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত মদন মিত্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ সকালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ওয়ার্ড থেকে তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।
করোনা আবহে প্রচারে নেমে মাস্ক বিলি করলেন বহরমপুরের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ চক্রবর্তী। মূলতঃ বাজার এলাকাতেই সচেতনতার প্রচার চালান তিনি। পথচলতি মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়েও তাদের সচেতন করেন কংগ্রেস প্রার্থী।
১০ হাজার, ১১ হাজার, ১২ হাজার পেরিয়ে রাজ্যে এবার দৈনিক আক্রান্তের সঙ্গে ১৩ হাজার ছুঁইছুঁই। ভয়ঙ্কর রেকর্ড। শুধু আক্রান্তের সংখ্যাই বাড়ছে না। মৃত্যু মিছিলও অব্যাহত। গড়ে ৫০ জনের বেশি করে সহ নাগরিককে হারাচ্ছি আমরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যাটা ফের ৬০ ছুঁইছুঁই।
দিনে দিনে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় সংখ্যাটা আড়াই হাজারেরও বেশি।
প্রতিদিন বহু মানুষ করোনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় ১০ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৮২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যে। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৭৩৭।
প্রেক্ষাপট
সারা দেশের মতোই এ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকদিনই উত্তরোত্তর বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। সারা দেশেই অক্সিজেন জোগানের সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স রাজ্যের। ইতিমধ্যে রাজ্যের পক্ষ থেকে বাড়তি অক্সিজেন না নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে চিঠিও লেখা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -