কলকাতা: আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group) নিয়ে একজোটে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে তৎপর বিরোধীরা। সেই আবহে অন্য বিরোধী দলের থেকে পৃথক অবস্থান তৃণমূলের (TMC)। মঙ্গলবারও সংসদে সেই অবস্থানই ধরে রাখল তারা। আদানি প্রসঙ্গ ছুঁয়ে গেলেও, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া আদায়েই বেশি জোর দিলেন দলের সাংসদরা। 


কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া আদায়েই বেশি জোর তৃণমূলের


মঙ্গলবার লোকসভায় বক্তৃতা করতে ওঠেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সেখানে তিনি বলেন, "আমরা একাধিক বার বলেছি। আমাদের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। নানা অজুহাতে তা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলা থেকে বিজেপি-র সাংসদ যাঁরা, তাঁরা বাঙালি বিরোধী। তাঁরা চান না, বাংলার উন্নতি হোক, বাংলা গিয়ে আসুক। বামলাকে আটকাতে এ সব করছেন। পরিকাঠামো খাতে, ১০০ দিনের কাজে, উন্নয়নে, নারীকল্যাণে শূন্য মিলেছে কেন্দ্রের কাছ থেকে। ওঁদের কাছে প্রচারই হিরো, বাকি সব জিরো।"


আদানি গোষ্ঠীকে ঘিরে থাকা ভূরি ভূরি অভিযোগ নিয়ে কল্যাণ বলেন, "আর্থিক দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন ইডি-কে তদন্ত করতে বলা হচ্ছে না ? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি শুধুমাত্র বিরোধীদের ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে দেখা যায়।" আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান, গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিও তোলেন কল্যাণ।


আরও পড়ুন: SSC Case: মানসিক নির্যাতনের শিকার পার্থ! শুনানিতে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা, তৃণমূল বলল ‘সব নাটক’


আদানি ইস্যুতে আজও সংসদে বিস্তর হইচই হয়। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপরে ধন্যবাদজ্ঞাপন পর্বের আলোচনায় সম্মত হন বিরোধীরা। আর বিতর্কের সময়ই আদানি প্রসঙ্গ তুলে ধরার কৌশল নেয় কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এ দিনও মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়।


গতকালের মতোই বিরোধী-বৈঠকে এ দিন গরহাজির ছিল তৃণমূল


কিন্তু গতকালের মতোই বিরোধী-বৈঠকে এ দিন গরহাজির ছিল তৃণমূল। বরং আলাদা করে এ দিবন দিল্লিতে আদানি ইস্যুতে LIC এবং SBI অফিসের সামনে তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ ছুড়ে দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, "দিদির ফোন চলে যাবে আবার। বাইরে থেকে দেখাচ্ছে আন্দোলন, দু'জনের একই মালিক- আদানি। ফিক্স, আসলে সেটিং।" সেই আবহেই লোকসভায় সরব হলেন কল্যাণ।