Uttar Pradesh News: মাথার উপর দেনার পাহাড়, শিশুকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন দম্পতি
Rising Debt: উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

শাহজাহানপুর: চারমাসের ছেলেকে বিষ খাইয়ে হত্যা প্রথমে। তার পর আত্মঘাতী হলেন নিজেরাও। ফের এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল। উত্তরপ্রদেশের এক দম্পতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। মাথার উপর ঋণের পাহাড় জমছিল বসেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। (Uttar Pradesh News)
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। বুধবার সকালে এক আত্মীয় সকলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এক একটি ঘরে এক জনের দেহ পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে ৩০ বছর বয়সি সচিন গ্রোভার হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। ২৮ বছর বয়সি স্ত্রী শিবানী এবং তাঁদের চার মাসের ছেলে ফতেহ্-র দেহ মিলেছে বাড়ি থেকে। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘পরিবারকে নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। আমাকে সকলেই সাহায্য় করেছিলেন। আমাদের গাড়ি এবং বাড়িটি বিক্রি করে দিন, যাতে ঋণ মেটানো যায়। কেউ যেন বলতে না পারে যে দেনা মেটাইনি’। (Rising Debt)
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঘরের সিলিং ফ্য়ানে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন সচিন এবং শিবানী। আগেই বিষ খাওয়ানো হয়েছিল শিশুটিকে। তার পর দম্পতি নিজেদের শেষ করে দেন। যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটির দোতলায় থাকতেন সচিন ও শিবানী। একতলায় বসবাসকারী আত্মীয় তাঁদের দেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, সচিন জামা-কাপড়ের ব্যবসা করতেন। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে, যাতে ঋণের কথা জানিয়ে গিয়েছেন সচিন। লিখে গিয়েছেন, মাথার উপর দেনার পাহাড় চাপলেও, সেই তুলনায় আয় ছিল না। এভাবে আর চালাতে পারছিলেন না তিনি।
সচিনের মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধেয় ছেলের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ব্যাঙ্কে ৫ লক্ষ টাকা জমা করতে হতো। কিন্তু ৩ লক্ষ টাকাই জোগাড় করতে পেরেছিলেন। সেই নিয়ে অস্থির ছিলেন সচিন। কিন্তু পরিবারের সকলকে নিয়ে ছেলে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন বলে কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
দেনার দায়ে সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়ার পর পর বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে গত কয়েক মাসে। এর জন্য দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
National Council for Applied Economic Research মধ্যবিত্ত শ্রেণি বলতে বছরে ৫ থেকে ৩০ লক্ষ রোজগেরে পরিবারগুলিকেই চিহ্নিত করেছে। কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত এক দশকে মধ্যবিত্তদের আয় তেমন বাড়েনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে যা বাজারদর, তাতে ভারতের মোট ডিজিপি-র ৪২.৯ শতাংশই গৃহস্থের মাথা থাকা বিপুল পরিমাণ ঋণ। মর্গ্যান স্ট্যানলি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের গোড়ার দিকেই গৃহস্থের ঋণের পরিমাণ ২৩.১ থেকে বেড়ে ২৩.৯ শতাংশ হয়। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি, চড়া হারে কর, অন্য দিকে আধুনিক জীবনযাপনের হাতছানি, মধ্যবিত্তরা এই ফাঁদে পা দিচ্ছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।






















