Mayapur ISKCON Deepdan Utsav: শত শত প্রদীপ হাতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের সমাগম, মায়াপুর ISKCON-এ শুরু অকাল দীপাবলি !

Deepdan Utsav : সূর্যাস্ত যাওয়ার পরেই হাজার হাজার ভক্ত হাতে ঘি-এর প্রদীপ নিয়ে ISKCON-এর চন্দ্রোদয় মন্দিরে বিগ্রহের সামনে আরতি করতে থাকেন।

Continues below advertisement

প্রদ্যুৎ সরকার, মায়াপুর : সামনেই দীপাবলি উৎসব। সেই দীপাবলীর আগেই জ্বলে ওঠে শত শত দীপ। আর এভাবেই অকাল দীপাবলিতে মেতে ওঠেন মায়াপুর ISKCON-এর ভক্তরা। কার্তিক মাস দামোদর মাস অথবা নিয়ম সেবার মাস হিসাবে পালিত হয় কৃষ্ণ ধর্মালম্বীদের কাছে। আর দামোদর মাসে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকে ISKCON-এর প্রধান কেন্দ্র মায়াপুর ISKCON-এ শুরু হয়েছে এই দীপদান উৎসব। দীপদান উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটেছে মায়াপুর ISKCON-এ। সূর্যাস্ত যাওয়ার পরেই হাজার হাজার ভক্ত হাতে ঘি-এর প্রদীপ নিয়ে ISKCON-এর চন্দ্রোদয় মন্দিরে বিগ্রহের সামনে আরতি করতে থাকেন। আর এভাবেই প্রতিদিন সন্ধেয় একদিকে দামোদর অষ্টকম পাঠ, অন্যদিকে সমস্ত ভক্তের হাতে শত শত প্রদীপ জ্বলে ওঠে।

Continues below advertisement

লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে শুরু হওয়া এই দীপদান উৎসব চলবে পুরো একমাসব্যাপী। এ বিষয়ে মায়াপুর ISKCON-এর জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণ বিজয় দাস জানান, দামোদার মাসে লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে। সমস্ত ভক্ত তাঁদের মনোস্কামনা পুণ্যার্থের জন্য এই দীপদান উৎসব ভগবানের নামে উৎসর্গ করেন। প্রতিদিন সন্ধেয় হয় দামোদর অষ্টকম পার-সহ বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দীপদান উৎসবে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। প্রত্যেককে ISKCON-এর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এই প্রদীপ দেওয়া হয় ভগবানের উদ্দেশে দীপ দেখানোর জন্য। আর এভাবেই একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে মায়াপুর ISKCON-এর চন্দরা মন্দিরে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দীপাবলি এ বছর দু’দিন পালিত হবে। দীপাবলি ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর দু'দিনের। এই দিনে প্রদোষে দেবী লক্ষ্মীর hgpa করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে বিচরণ করেন। দীপাবলির একটি শুভ সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে, দেবী লক্ষ্মী ঘরে থাকেন।

দীপাবলিতে কেন পালিত হয় লক্ষ্মীপুজো ?

মার্কন্ডেয় পুরাণ বলে যে, পৃথিবীতে যখন কেবল অন্ধকার ছিল, তখন একজন দেবী আবির্ভূত হয়েছিলেন। একটি উজ্জ্বল আলো নিয়ে পদ্মের উপর বসে। তিনি ছিলেন লক্ষ্মী। তাঁর আলোয় পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই দিনে লক্ষ্মীপুজোর প্রথা রয়েছে। শ্রীমদ ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে যে, সমুদ্র মন্থন থেকে লক্ষ্মী অষ্টম রত্নরূপে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হন। অতএব, এই দিনে মানুষ তাদের ঘর সাজায় এবং দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানায়, তাঁর পুজো করে। কারণ দেবী কেবল সেই বাড়িতেই বাস করেন যেখানে পরিষ্কার, শান্তি এবং সুখের পরিবেশ থাকে। তাই ঘর পরিষ্কার ও সাজিয়ে দীপাবলি উদযাপনের রীতি রয়েছে। কারণ লক্ষ্মী সুখি এবং দীর্ঘ সময় ঘরে থাকেন বলে বিশ্বাস করা হয়। লক্ষ্মী-বিষ্ণুর বিয়েও হয়েছিল দীপাবলির রাতে।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola