কলকাতা: আর কয়েক দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। অর্থাৎ বাঙালির নববর্ষের সূচনা। আর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিই হল বৈশাখ মাসের প্রথম দিন। অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ। রাশিচক্রের একটি হিসেব এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয় বাংলা বছরের ক্যালেন্ডার। আর এই সময়ের সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। মেষ রাশির সংক্রান্তি অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিনটি তাই পয়লা বৈশাখ। রাশিফলের এই নিয়ম সারা দেশেই প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু পয়লা বৈশাখ নামটি বাংলার একান্ত নিজস্ব আবেগের ফসল। বাংলার বাইরে এই দিনটির নাম বৈশাখী।
শুরু হচ্ছে বাংলা সন ১৪৩১
বাংলা যুগের হিসেবে ১৪৩০ সন শেষ হতে চলেছে। শুরু হচ্ছে ১৪৩১ সন। সাধারণত ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের সূচনা হয়। অর্থাৎ এই দিনটিই বৈশাখ মাসের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ পড়ে। কিন্তু কিছু কিছু বছরে এই তারিখের হেরফের হয়। ১৪ এপ্রিলও পয়লা বৈশাখের সূচনা হয়। চলতি বছরেও তেমনটাই হতে চলেছে দৃক পঞ্চাঙ্গ মতের পঞ্জিকা অনুসারে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত অনুসারে পয়লা বৈশাখ রবিবার ১৪ এপ্রিল। চৈত্র সংক্রান্তি পড়েছে শনিবার ১৩ এপ্রিল। রবিবার থেকেই ১৪৩১ বঙ্গাব্দের সূচনা। তবে সংক্রান্তি ক্ষণ ১৩ এপ্রিল রাত সোয়া নটা নাগাদ। সেই হিসেবেই গোটা রবিবার থাকছে পয়লা বৈশাখ।
পয়লা বৈশাখের সংস্কৃতি
বাঙালি জীবনে পয়লা বৈশাখের সংস্কৃতি বেশ প্রাচীন ও বর্ণময়। এই দিনটির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় ঘরে ঘরে। ঘরদোর ঝাড়পোছ ও গোছানো হয় চৈত্র মাসেই। পয়লা বৈশাখের দিন নতুন জামাকাপড়ে সেজে ওঠেন বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলে। এছাড়াও, পয়লা বৈশাখের দিন বাঙালির ভুড়িভোজের বিশেষ রীতি তো রয়েছেই। এই দিন হালখাতারও মহার্ঘ দিন। দোকানে দোকানে আজও বিকেল হলে ঢল নামে মানুষের। হালখাতা করানোর পাশাপাশি কেনাকাটা ও উৎসবের আমেজ লেগে থাকে গোটা বঙ্গভূমিতে।
ঘরে-বাইরে পয়লা বৈশাখ
শুধু ঘরের মানুষদের আনন্দ উদযাপন পয়লা বৈশাখ নয়। বরং দোকানে দোকানে আগে থেকে শুরু হয় দিনটির প্রস্তুতি। এই দিন দোকানে পুজো হয়, হালখাতার জন্য় আয়োজন চলে সারা দোকান জুড়ে। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ঢল নামে।
আরও পড়ুন - Poila Baisakh Recipe: পয়লা বৈশাখের দুপুর জমে উঠুক 'নিরামিষ' ডিমের ডালনায়