নয়াদিল্লি: নভেম্বরের গোড়াতেই দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। জোড়-বিজোর নীতি চালু করে, কল-কারখানা বন্ধ রেখেও হচ্ছে না সুরাহা। তাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে সরকার (Artificial Rain)। দূষণ থেকে মুক্তি পেতে, কৃত্রিম উপায়ে দিল্লির বুকে বৃষ্টি নামানো হবে। চলতি মাসের শেষ দিকেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে আনা হবে রাজধানীর বুকে। (Delhi Air Pollution)
বুধবার এই ঘোষণা করেছেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই। এদিন আইআইটি কানপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক সেরে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর ঘোষণা করেন গোপাল। তিনি জানান, বাতাসের ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা নামিয়ে আনতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকলে ২০ থেকে ২১ নভেম্বর দিল্লির বুকে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন গোপাল। তিনি বলেন, "আইআইটি কানপুরের অনুমান, ২০ এবং ২১ নভেম্বর দিল্লির আকাশ মেঘলাই থাকবে। সেকথা মাথায় রেখেই কালকের মধ্যে প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি। সেটি আদালতে জমা দেওয়া হবে। ২০ এবং ২১ নভেম্বর আকাশ মেঘলা থাকলে, সব তরফ থেকে অনুমোদন মিললে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হবে।"
আরও পড়ুন: Air Pollution: পঞ্জাব থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ, বিষাক্ত ধোঁয়াশা বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত, দেখাল NASA
দূষণের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শীতকালীন ছুটির আগেই ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির স্কুলগুলিতে। বুধবারই দিল্লির বাতাসের গুণমানের আরও অবনতি ঘটেছে। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য মূলত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছে।
কী বলে আদালত
সেই নিয়ে একদিন আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, সকলকে একজোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেন। শীর্ষ আদালত জানায়, দূষণ নিয়ে রাজনীতির সময় নয় এটা। একজোটে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। ফসলের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতেও পদক্ষেপ করতে বলে শীর্ষ আদালত।
কৃত্রিম বৃষ্টি কী
কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানো একটি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। এর জন্য প্রথমে কৃত্রিম উপায়ে মেঘ সৃষ্টি করা হয়। তার পর সেই মেঘকে বৃষ্টিপাতের উপযোগী করতে হয়। তার পর ওই বৃষ্টি গলিয়ে বৃষ্টি নামিয়ে আনা হট পৃথিবীতে। একই সঙ্গে, আকাশে ভাসমান মেঘকে জলের ফোঁটায় তৈরি করেও কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে আনা যায়। বাইরের একাধিক দেশে এই উপায়ে বৃষ্টি নামানোর নজির রয়েছে। দূষণের হাত থেকে দিল্লিকে রক্ষা করতে এবার সেই পথেই হাঁটার পক্ষপাতী দিল্লি সরকার।