হায়দরাবাদ: একদিকে মরণ-বাঁচন পরিস্থিতি। এক ম্যাচ হারলেই প্লে অফের দৌড় থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়া। অন্যদিকে আট দিনে চার ম্যাচের ধকল। ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টস (SRH vs LSG) ম্যাচের আগে জোড়া চাপে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।


 

শনিবার বিকেলের ম্যাচ। তার আগে স্বস্তিতে নেই লখনউ সুপার জায়ান্টসও। চোটের জন্য গোটা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন অধিনায়ক কে এল রাহুল। পাশাপাশি শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে লখনউ। শেষ জয় এসেছিল প্রায় ২ সপ্তাহ আগে। তারপর থেকে সমস্যায় জর্জরিত লখনউ।


তবে টানা দ্বিতীয়বার প্লে অফে ওঠার লড়াই থেকে এখনও ছিটকে যায়নি। তবে প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি জিততে হবে লখনউকে। যার মধ্যে একটি ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।


গুজরাত জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২২৭ রান হজম করেছিল লখনউ। সেই ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। তারপর থেকেই লখনউয়ের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটা সময় ১০ ওভারে ১০২/১ থাকা সত্ত্বেও নিকোলাস পুরান বা মার্কাস স্টোইনিসকে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে তুলে আনা হল না কেন, তা নিয়ে জোরাল চর্চা চলছে। সেই সঙ্গে সমালোচনা চলছে, কেন রবি বিষ্ণোইকে পুরো ওভার বল করানো হচ্ছে না তা নিয়েও।

 

হায়দরাবাদকে আগামী ৮ দিনে ৪টি ম্যাচ খেলতে হবে। সব ম্যাচই মরণ-বাঁচন। প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে সব ম্যাচ জিততেই হবে এইডেন মারক্রামদের। ব্যাটিং হায়দরাবাদের প্রধান মাথাব্যথার কারণ। তাদের সবচেয়ে দামি দুই ক্রিকেটার - ময়ঙ্ক অগ্রবাল ও হ্যারি ব্রুক ব্যর্থ। দল থেকেও বাদ পড়েছেন। তবে ৭ বলে ২৫ রানের ঝড় তুলে ভরসা দিয়েছেন গ্লেন ফিলিপ্স।

দুই দলের তিন লেগস্পিনারকে নিয়েও চর্চা চলছে। লখনউয়ের রবি বিষ্ণোই ও অমিত মিশ্র। হায়দরাবাদের ময়ঙ্ক মারকাণ্ডে। উপ্পল স্টেডিয়ামের বড় মাঠে স্পিনারদের আক্রমণ করাটা সহজ হবে না কোনও দলেরই।


দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে লখনউ সুপার জায়ান্টস সহজেই জিতেছিল। ৫ উইকেটে। সেই ম্যাচেও স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।


ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বর থেকে উঠে আসবে হায়দরাবাদ। ২ পয়েন্ট পেলে প্রথম চারে জায়গা আরও কিছুটা মজবুত করবে লখনউ। শেষ হাসি কাদের জন্য তোলা থাকবে?