Ostader Maar: 'আমি ম্যাচ বাঁচাব', নেপিয়ারে ১০ ঘণ্টার ইনিংসের শুরুতেই বন্ধুকে ফোনে বলেছিলেন গম্ভীর
Gautam Gambhir: ১০ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের ইনিংসের মাঝে এক সময় গম্ভীর গোটা ঘণ্টা ব্যাট করে মাত্র ১ রান করেছিলেন। একসময় একাগ্রতা বজায় রাখতে কথাও বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা: বর্তমান যুগে ব্যাটারদের ধৈর্য্য নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন উঠে। অনেকেই মনে করেন ক্রিজে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকার দক্ষতা ব্যাটারদের মধ্যে দিন দিন কমে আসছে। তবে আজ এক দেড় দশক আগেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে ম্যাচ বাঁচানোর নজির নেহাত কম ছিল না। আজ 'ওস্তাদের মার'-এ এমনই এক ইনিংসে নিয়ে কথা বলা হবে যেখানে ম্যাচ বাঁচাতে দুই দিনেরও বেশি সময় ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)।
হ্যামিলটনে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে ছিল ভারতীয় দল। নেপিয়ারে (India vs New Zealand 2009) টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়ে ম্যাচে কামব্যাক করতে বদ্ধপরিকর নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৬১৯ রান করে। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয় দল। ফলো অন করা ভারতীয় দলকে অল আউট করতে কিউয়িদের হাতে ছিল আড়াই দিন। দ্বিতীয় ইনিংসে বীরেন্দ্র সহবাগ মাত্র ২২ রানেই আউট হয়ে যান, ভারত ৩০ রান প্রথম উইকেট হারায়।
১০ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের ম্যারাথন
এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল যে ম্যাচ বাঁচাতে সক্ষম হবে, তা ভারতীয় দলের খুব বড় সমর্থকও ভাবেননি। তবে ভারতের ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন গৌতম গম্ভীর। আড়াই দিনের ম্যারাথন ইনিংসে দলের হয়ে ম্যাচ বাঁচান তিনি। ১০ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের গম্ভীরের ইনিংসে অবিশ্বাস্যভাবে ভারত ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি কঠিন থাকলেও, গম্ভীর তৃতীয় দিনের শেষেই কিন্তু জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ভারতের হয়ে ম্যাচ বাঁচাবেন।
গম্ভীর পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, 'আমার মনে আছে আমি খুব কাছের এক বন্ধুকে ফোন করে বলেছিলাম যে আমার মনে হচ্ছে আমি দুই দিন ব্যাট করতে পারব। গোটা বিষয়টি পুরোপুরিই স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তা ছিল। আমি বড়জোর ২০ রানে ব্যাট করছিলাম। রুমে গিয়েই সোজা আমি ওকে ফোন করে এই কথাটা বলি। ও বলেছিল ব্যাপারটা সহজ হবে না। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিল যে এই আমি এই ম্যাচ বাঁচাব। ভাগ্যক্রমে বাঁচাতে পেরেছিলামও বটে।' এই ইনিংসেরই কথা বলতে গিয়ে গম্ভীর আরও জানান তিনি একসময় একাগ্রতা বজায় রাখতে কথাই বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এক ঘণ্টায় ১ রান
তিনি ১৩৭ রান করেন। এক সময় তো এক ঘণ্টা ব্যাট করে মাত্র ১ রান করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার। গম্ভীরের এত খাটনি কিন্তু বৃথা যায়নি। প্রথমে দ্রাবিড়ের সঙ্গে ১৩৩ রান, তারপর সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে যথাক্রমে ৯৭ ও ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গম্ভীর। শেষমেশ এই সিরিজটা ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারতীয় দল। তবে গম্ভীরের এই ম্যারাথন ব্যতীত তা করা কোনওসময়ই সম্ভব হত না। গম্ভীর নিজেও এই ইনিংসকে নিজের খেলা সেরা ইনিংসগুলির তালিকায় একেবারে শীর্ষের দিকে রাখেন।
আরও পড়ুন: 'ওয়াল'-এ বাধাপ্রাপ্ত 'চিন মিউজিক', ২২ বছর পরে অজিভূমে জয়ের নায়ক দ্রাবিড়