কাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে মহম্মদ শামি? ‘ভার্জিন’ পিচ নিয়ে চিন্তায় দুদলই
বার্মিংহাম: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হতে পারে মহম্মদ শামির। এমনটাই জল্পনা।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখনও একটা ম্যাচও খেলেননি ভারতের ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি। তবে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তাঁকে খেলানোর ভাবনাচিন্তা করছে টিম ইন্ডিয়া।
বুধবার, এজবাস্টনে বাধ্যতামূলক অনুশীলনে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে দেখা গেল এই বঙ্গতনয়কে। এদিন নেট প্র্যাকটিসে পুরোদমে ঘাম ঝরান তিনি। সাধারণত, যে বোলারের খেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়, তাঁকেই এভাবে অনুশীলন করানো হয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, ভূবনেশ্বর কুমারের জায়গায় দলে আসতে পারেন শামি। পিচের চরিত্র দেখেই না কি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এহেন ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যে পিচে আগামীকাল যে পিচে ম্যাচ হওয়ার কথা, তাতে একটাও ম্যাচ হয়নি। প্রাথমিকভাবে, পিচ দেখে যা মনে হচ্ছে, তা পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। আর তা থেকেই শামিকে খেলানোর ভাবনাচিন্তা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
কারণ, সাধারণত, ভূবনেশ্বর কুমার সুইং বোলার। পিচ যদি বোলিং সহায়ক হয়, বা স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, তাহলে ভূবির কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্ত, পাটা পিচে শামি বেশি কার্যকর। কারণ, তিনি পিচ থেকে গতি ও বাউন্স আদায় করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তাঁর গতিও বেশি।
তবে, পিচ আদতে কেমন হবে, তা নিয়ে ধন্দে দুদলই। কারণ, যে পিচে সেমিফাইনাল হবে, তা ভার্জিন। অর্থাৎ, এখনও ওই পিচে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটিও ম্যাচ হয়নি। যা চিন্তায় রেখেছে দুই শিবিরকেই।
এদিন অনুশীলনের সময় অধিনায়ক বিরাট কোহলি, কোচ অনিল কুম্বলেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পিচ পর্যবেক্ষণ করেন। কুম্বলে জানান, এজবাস্টনের এই পিচ অনেকটাই সাদা। বড় স্কোর গড়তে পারেন ব্যাটসম্যানেরা। গুরুত্বরূপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন স্পিনারেরা।
যদিও, পিচ নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নয় কোহলি-ব্রিগেড। এদিন অনুশীলনে হাল্কা মেজাজে পাওয়া গেল বিরাটকে। এদিন বিরাট যেন উসেইন বোল্ট হয়ে ওঠেন। জাডেজা, হার্দিকদের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিয়ে ১০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিলেন বিরাট। জিতলেনও তিনি।
অনুশীলনে চলল ক্যাচ-প্র্যাক্টিসও। বিশেষত বাউন্ডারি লাইন ক্যাচিংয়েই জোর দেওয়া হল বেশি। পাশাপাশি, অনেকটা দৌড়ে ক্যাচ নেওয়ার অনুশীলনও সারলেন টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা। হাই-স্কোরিং ম্যাচে বাউন্ডারি লাইনে ক্ষুরধার ফিল্ডিং অনেক সময় ম্যাচের ভাগ্যই বদলে দেয়। সে কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।