(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
RG Kar: 'সব দেখেও কী ভাবে চোখ বুজে থেকেছে স্বাস্থ্য দফতর', ১৩৭ পাতার নথি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
ABP Ananda Live: 'কী ভাবে আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি? সব দেখেও কী ভাবে চোখ বুজে থেকেছে স্বাস্থ্য দফতর', মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ১৩৭ পাতার নথি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অভিযোগ, বেশি দাম দেখিয়ে হাসপাতালের যন্ত্রাংশ কিনেছেন সন্দীপ ঘোষ। করোনার সময় পৌনে ২ লক্ষ টাকার যন্ত্র কেনা হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়। মা তারা ট্রেডার্সকে বেআইনি ভাবে কয়েক কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ওষুধ থেকে চিরুণির বরাত। ওষুধ সরবরাহকারী ব্যবসায়ীর থেকে কেনা হয়েছে সোফা সেট', নবান্নের বৈঠকে নথি তুলে দিয়ে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।
মৃতদেহ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
এবার অমিত শাহকে চিঠি আর জি কর মেডিক্যালের নিহত নির্যাতিতার বাবার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি। মানসিক যন্ত্রণা ও অসহায়তার কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি নিহত নির্যাতিতার বাবার। আর জি কর মেডিক্যালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার অনুরোধে উঠল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন-আন্দোলন। গতকাল, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর, রাতে ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন তাঁরা। ১৭ দিন পর অনশন তুললেও, ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও শোনা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে। আগামী শনিবার, আর জি কর মেডিক্যালে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন তাঁরা। গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও শুরু হয় অনশন। একের পর এক জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়লেও পিছু হঠেননি তাঁরা। শেষপর্যন্ত সোমবার অনশন তোলার ঘোষণার পাশাপাশি আজ স্বাস্থ্য ধর্মঘটের কর্মসূচিও প্রত্যাহার করলেন আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রথম থেকে অনশনে বসা জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায়। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদের অনুরোধে যে তাঁরা অনশনের পথ থেকে সরে আসেননি, স্পষ্ট করে দেন ১৫ অক্টোবর থেকে অনশনে বসা জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার।