অনিন্দ্গীতা দাশগুপ্তের কুছ কুছ ফিল্ম জাইসী ভারতকে নিয়ে গেল হলিউড-এ
আদ্যোপান্ত একটা অন্য ধারার ওয়েব সিরিজ, তাও আবার ৪ ঘন্টা ৪১ মিনিটের।
"কুছ কুছ ফিল্ম জাইসি", নামটা শুনলে চোখের সামনে ভেসে আসে শাহরুখ খানের "কুছ কুছ হোতা হ্যায়" সিনেমাটি।কিন্তু "কুছ কুছ হোতা হ্যায়" সিনেমার সাথে "কুছ কুছ ফিল্ম জাইসি"র কোনো মিল নেই। আদ্যোপান্ত একটা অন্য ধারার ওয়েব সিরিজ, তাও আবার ৪ ঘন্টা ৪১ মিনিটের।
টোকিও - মুম্বাই নিবাসী প্রবাসী বাঙালি ডিরেক্টর, রাইটার অনিন্দগীতা দাশগুপ্ত এই সিরিজটা শ্যামপুকুরের পৃথ্বীজীত শেঠ ,নেপালের উরুশা পান্ডে , ভিকি, মুম্বাই এরঅঙ্কুশ ত্রিপাঠীদের মত এক ঝাঁক নতুন আর্টিস্টদের নিয়ে বানিয়েছেন ।
ওয়েব সিরিজটি এখনো অবধি হলিউড গোল্ড অ্যাওয়ার্ডে অনারেবল মেনশন, হলিউড Blvd ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফিমেল ডিরেক্টর, লন্ডন মুভি অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট ওয়েব সিরিজ, নিউ জার্সি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট ডিরেক্টর - একের পর এক আওয়ার্ডস পেয়ে চলেছে ,প্রায় ১৩৬ টা অ্যাওয়ার্ডস্, নমিনেশন, অফিসিয়াল সিলেকশন ডাইরেক্ট এর ঝুলিতে এখনো অবধি।
একটি ওয়েব সিরিজে এত অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার রহস্যটা কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে অনিন্দগীতা বলেন " অ্যাওয়ার্ডস পাওয়ার জন্যে দরকার অনেকটা পেশেন্স, অধ্যাবসনা, মানসিক শক্তি, আত্মবিশ্বাস আর কিছু ভালো করার একটা খিদে|
বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পার্টিসিপেট করলে যদি কাজটা নির্বাচকদের পছন্দ হয়ে তবেই মনোনয়ন, সম্মান, বা অ্যাওয়ার্ডস পাওয়ার একটা আশা থাকে| আমি শুধু সেটাই করেছি, অক্টোবর ২০২২ থেকে দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে শুধু একটার পর একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ পার্টিসিপেট করে গেছি রেজাল্ট এর আশা না করে ,রেজাল্ট আমার হতে নেই ,অনেক জায়গা থেকে অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছি আবার অনেক জায়গা থেকে কোনো কিছুই পাইনি ,অ্যাওয়ার্ডস পাওয়া টা আমার হাতে নেই , কিন্তু পার্টিসিপেট করা টা আমার হাতে, আমি সেটাই করেছি বাকি টা ভাগ্য | ভাগ্যই বটে, এতো পরিশ্রম করলে ভাগ্য সহায় না হয়ে থাকতে পারে ?" কথা টা শুনে মুচকি হেসে ফেললেন ডিরেক্টর ।
আজকের যুগে অগণিত OTT প্লাটফর্মে কত ওয়েব সিরিজ রিলিজ হচ্ছে প্রতিদিন কে আর খবর রাখতে পারে, শুধু ott র দর্শক ছাড়া ,সেই যুগে দাড়িয়ে টোকিও, মুম্বাই থেকে নিজের পয়সায় যাতায়াত করে, কোনো সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়া, একা হাতে স্ক্রিপ্ট লেখা, আর্ট ডাইরেকশন করা, ক্যামেরা চালানো, ডাইরেকশন দেয়া এ কি মুখের কথা ?
অনিন্দ্গীতার এই অসামান্য কৃতিকে সেলাম জানাই আমরা, আজকের কমার্শিয়াল যুগে শুধু সিনেমাটিক আর্টের জন্যে কজন পারে ১৩৬ অ্যাওয়ার্ড এনে দিতে বাংলা কে ? ভারত কে ? কজন পারে বাংলার নাম, ভারত এর নাম উজ্জ্বল করতে?
কথাটা শুনে অনিন্দ্গীতা বলেন এরকম বলার মানে নেই , বাংলায় এখন দারুণ ভালো কাজ হচ্ছে, সকলে হয়তো অ্যাওয়ার্ডস পান না,কারণ ওটা পেতে গেলে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ অংশ নিতে হয় ,সেটা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না সব সময় ,তাই পান না ।কিন্তু তাই বলে তাদের কারোর অবদান কিছু কম নয়| আসলে কমার্শিয়াল রিটার্নের একটা চাপ সবার ওপরই থাকে আরও অনেক রকম ফ্যাক্টর্স থাকে নতুন প্রযোজক দের মানসিকতা, অডিয়েন্সএর ইচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটরদের চয়েস তাই সবাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিলিজ করার চেষ্টা করেন ,ফেস্টিভ্যাল এ দিতে গেলে তো অনেক টা অপেক্ষা করতে হয়ে সবার পক্ষে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না ।
কেমন ছিলো ওয়েব সিরিজ বানানোর অভিজ্ঞতা ? এক মুহূর্ত চুপ থেকে উনি বলেন সেটা না হয় দেখে নেবেন পরের ওয়েব সিরিজ-এ।
সেটা আবার কি ? কেনো ? কি ছিলো সেই অভিজ্ঞতা ? একটা ওয়েব সিরিজ বানানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে আর একটি ওয়েব সিরিজ?? সেটা আবার কত ঘণ্টার কে জানে ?
ডিসক্লেমার: এই নিবন্ধটি একটি ফিচার্ড প্রতিবেদন। ABP অথবা ABP LIVE কর্তৃক সম্পাদিত নয়। ABP বা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব কিছুর জন্য অথবা উল্লিখিত নিবন্ধে বর্ণিত/নির্দিষ্ট ভাবনা, মতামত, ঘোষণা, ডিক্লেয়ারেশন, যাচাইকরণ ইত্যাদির জন্য আমরা ABP Live বা ABP Network কোনওভাবেই দায়ী থাকব না। সেই অনুসারে পাঠকদের কোনও বিষয়ে বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।