Bitcoin: ফের রেকর্ড গড়ল বিটকয়েন, জেনে নিন ক্রিপ্টোকারেন্সির সাত-সতেরো
২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে
নয়াদিল্লি : ফের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠল বিটকয়েন। মঙ্গলবার প্রথম মার্কিন বিটকয়েন ফিউচারস বেসড এক্সচেঞ্জ ট্রেড ফান্ড লঞ্চ হওয়ার একদিনের মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ বাড়ল দাম। যা প্রায় ৬৪ হাজার (৬৩,৯৯৮) মার্কিন ডলার। এখনও পর্যন্ত বিটকয়েনের ইতিহাসে রেকর্ড প্রায় ৬৫ হাজার (৬৪,৮৯৫)। যা হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই। ছোট ইনভেস্টর থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডিং ফার্ম, সবার ক্ষেত্রেই ক্রমশ বিটকয়েন ব্যবহারের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী।
গত জানুয়ারি মাসে টেসলা সংস্থার কর্ণধার ইলন মাস্ক বিটকয়েনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারদর। প্রসঙ্গত, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে। তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়।
২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে। এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি পায়। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। এই বিটকয়েন লেনদেনে কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতি।
ব্যবসায়িক ব্যবহারের গণ্ডি টপকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রমশ ঢুকে পড়েছে মানুষের দৈন্দদিন জীবনেও। নয়াদিল্লির এক অন্যতম ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁতে শুরু হয়েছে ডিজিটাল থালি। যেখানে ক্রিক্টো কারেন্সিতে পেমেন্ট করলে ২০ শতাংশ বাড়তি ছাড় দিচ্ছেন তারা। বর্তমানে বিটকয়েন ব্যবহার করে সাধারণত অনলাইন গেম কিংবা লেনদেন চলে। বিশ্বের একাধিক দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন স্বীকৃত হলেও দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল এর উপর। যদিও ২০২০ সালে বিটকয়েনকে বৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- রেস্তোরাঁয় ডিজিটাল থালি-বিটকয়েন টিক্কা, নিত্যকার জীবনে আসছে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রভাব
আরও পড়ুন- ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এম-ক্যাপ ছাপিয়ে গেল বিটকয়েন