Bank Roberry Case: একাধিক রাজ্যে ব্য়াঙ্ক ডাকাতি, সৎপথে রোজগারের রাস্তায় ফিরেও হল না রক্ষে, পুলিশের হাতে ধরা পড়ল রসায়নে MPhil যুবক
Chemistry Scholar Turns Bank Robber: গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল দীপ শুভমের গতিবিধি সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পান।

নয়াদিল্লি: রসায়নের অধ্যাপক থেকে মাদক কারবারি হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে তৈরি রোমহর্ষক ওয়েব সিরিজ ‘Breaking Bad’. বাস্তবেই এবার এমন কাহিনির খোঁজ পাওয়া গেল, তাও আবার এই ভারতে। দীপ শুভম নামের ৩২ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটন দূর করতে দিল্লি, বিহারে একাধিক ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে যুক্তহয় সে। তবে ডাকাতি তার মূল পেশা নয়, রসায়নে অসম্ভব পাণ্ডিত্য রয়েছে। অর্থনৈতিকট অনটন দূর করতেই ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে অপরাধমূলক কাজকর্ম ছেড়েও দিয়েছিল। ভেবেছিল, অতীত ভুলে এগিয়ে যাবে। কিন্তু আইনের হাতে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেল ওই যুবক। (Chemistry Scholar Turns Bank Robber)
গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল দীপ শুভমের গতিবিধি সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পান। জানা যায়, একাধিক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় ‘ওয়ান্টেড’ ওই যুবককে হরিয়ানার সোহনায় দেখা গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই প্রযুক্তির সাহায্য়ে দীপের উপর নজরদারি চালানোর কাজ শুরু হয়। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দিল্লি এবং বিহারে পর পর বেশ কিছু ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার দরুণ শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাকে। (Bank Roberry Case)
পুলিশ জানিয়েছে, একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন সংস্থায় কাজ করছিল দীপ। আসলে বিহারের সীতামঢ়ী এলাকার বাসিন্দা সে। রসায়ন নিয়ে দিল্লির ঐতিহ্যশালী কিরোরি মাল কলেজ থেকে প্রথনে স্নাতক হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করে সেখান থেকে। অ্যাডভান্সড ডিগ্রি MPhil-ও অর্জন করে দীপ। পরবর্তীতে আইনের পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে পড়ে। সেই মতো কমন ল অ্যাডমিশন পরীক্ষায় উতরে যায় ভাল ভাবে। LLB পড়ার সময় অর্থনৈতিক অনটনে পড়তে হয় তাকে। পরিস্থিতি এমন হয় যে কোর্স ছেড়ে দিতে হয় মাঝপথে।
পুলিশকে দীপ জানিয়েছে, পরিবার আর টাকা পাঠাতে পারছিল না তাকে। উপায় না দেখে অপরাধের রাস্তা ধরতে বাধ্য হয় সে। কিন্তু এত শিক্ষিত যুবক কোনও চাকরির চেষ্টা করল না কেন, প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রথম বার অপরাধ ঘটায় দীপ। বাজি, মিথাইল অ্যাসাটেট এবং বেঞ্জিন দিয়ে দিয়ে একটি ‘স্মোক বম্ব’ তৈরি করেল সে। সেই বোমার সাহায্য়ে সীতামঢ়ীর ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র শাখাটিকে প্রথম বার নিশানা করে সে। সেখান থেকে লুঠ করা হয় ৩.৬ লক্ষ টাকা।
সেবার ধরাও পড়ে যায় দীপ। দোষী সাব্যস্তও হয় আদালতে। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে আবারও অপরাধমূলক কাজেই ফিরে যায় সে। জেল থেকে বেরিয়ে দীপ কুখ্যাত অপরাধী রিতেশ ঠাকুরের সঙ্গে হাত মেলায় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দীপ এবং রিতেশ মিলে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লির গুজরানওয়ালার দু’টি ব্যাঙ্কে ডাকাতি করে। প্রায় ৭ লক্ষ টাকার গয়না, মোবাইল ফোন লুঠ করে দিয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর দীপকে অপরাধী ঘোষণা করে দেয় পুলিশ। এতদিন তার খোঁজ চলছিল। শেষ পর্যন্ত হত সপ্তাহে নাগাল পাওয়া যায়। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডেপুটি কমিশনার হর্ষ ইন্দোরার দাবি, এত শিক্ষিত হয়েও অপরাধের রাস্তা বেছে নিয়েছিল দীপ। অপরাধীর ভবিষ্যৎ যেমন হয়, তারও তা-ই হয়েছে।






















