Recruitement Corruption: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ, সুবীরেশ, কুন্তল-সহ ১৩ জনকে CBI আদালতে পেশ
এর আগের দিন আদালতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন বিরোধী নেতারা।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ১৩ জনকে আজ ফের আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে। মিডলম্যান ও এজেন্টদেরও পেশ করা হবে আদালতে। এর আগের দিন আদালতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন বিরোধী নেতারা। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। আজ কি ফের মুখ খুলবেন পার্থ? সেটাই দেখার। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ-সহ ১৩ জনেরই জামিনের বিরোধিতা করা হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দু-জনের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালাতেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। রিমান্ড লেটারে দাবি করেছে ED। শান্তনুকে জেলে গিয়েও জেরা করতে চায় তারা।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখনও পর্যন্ত, ED-CBI-এর জালে ধরা পড়েছেন ২০ জনেরও বেশি। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির আসল মাথা কে?
কার সঙ্গে কার সরাসরি যোগাযোগ থাকত?কে কার কাছে দুর্নীতির টাকা পৌঁছে দিত? সবটাই এখনও প্রায় গোলকধাঁধার মতো! এক এক সময়, এক এক রকম দাবি করছেন ধৃতরা। এই প্রেক্ষাপটেই, ED দাবি করেছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে
সরাসরি যোগ ছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার শান্তনুকে আদালতে তোলার সময় রিমান্ড লেটারে, ED জানিয়েছেপার্থ ও মানিক, দু’জনের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালাতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা, কারা অগ্রাধিকার পাবে, কত টাকায় রফা হবে, তা ঠিক করার পাশাপাশি,
এজেন্টদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শান্তনু। ১৮ মার্চ, বলাগ়ড়ের চাঁদরায় শান্তনুর গেস্ট হাউজে তল্লাশি চালিয়েছিল ED। তালা ভেঙে সেখানে ঢুকেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
এবার রিমান্ড লেটারে ED দাবি করল, চাঁদরায় ৪১ ডেসিমেল জমির উপর, ফার্ম হাউসের মালিকানা ইভান কোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের নামে দেখানো হয়েছে। সেখানেই শান্তনুর ২৮ ডেসিমেল জমি আছে। এ ছাড়াও ED-র দাবি, ভুুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন শান্তনু। সেখানে ডামি ডিরেক্টর, অংশীদার ও কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন। তারপর নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় তাঁদের নামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন শান্তনু। চুঁচুড়ার ABS টাওয়ারে শান্তনু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল, দুজনেরই ফ্ল্যাট রয়েছে।
শুক্রবার, ব্যাঙ্কশাল আদালত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। রিমান্ড লেটারে ED জানিয়েছে, ২০১২-র টেট-এর অ্যাডমিট কার্ড সামনে রেখে জেরার সময় চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছেন শান্তনু।কোন কোন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে চাকরি করিয়ে দেওয়ার সুপারিশ তালিকা পাঠাতেন, তা জানতে চায় ED. তাই জেলে গিয়ে শান্তনুকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।