Park Street Fraud:পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভারে পুলিশ পরিচয়ে ১৭ লক্ষ টাকা 'লুঠ'! ধৃত ২
State Police Constable:পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভারে পুলিশ পরিচয়ে 'লুঠ'! পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে টাকা লুঠের অভিযোগ।
আবির দত্ত, কলকাতা: পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভারে (Park Street Flyover) পুলিশ পরিচয়ে 'লুঠ' (Fraud)! পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের (Police Fraud) কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে টাকা লুঠের অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হাতে গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত। ধৃতরা আদৌ পুলিশ কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল লালবাজার। উল্লেখ্য, এর আগেও প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে পুলিশ আধিকারিকের।
আগেও চাঞ্চল্য...
চলতি মাসের গোড়াতেই চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগে গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃত পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরও জানা যায়, কলকাতা পুরসভার গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন অষ্টম ব্যাটালিয়নের এসিপি। তাঁকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেট। পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালে বরানগর থানায় নালিশ দায়ের হয়েছিল ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। তার পরই গ্রেফতার হন সোমনাথ ভট্টাচার্য। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে, ২ জনের থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে ডেকে ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। তার পরই গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের ওই এসিপি। কলকাতার গোয়া বাগানের বাসিন্দা শৌর্য সাহা ও হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় বসুর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন সোমনাথ। শৌর্যর অভিযোগ, তাঁকে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া ও তাঁর বোনের কলকাতা পুরসভার গ্রুপ সি পদে চাকরির নামে দু'দফায় প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন পুলিশকর্তা। পাশাপাশি, সঞ্জয় বসুর স্ত্রীকে আবাসন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া ও তাঁকে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছল বলে খবর। শুধু তাই নয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে খবর, এমন একাধিক ব্যক্তির থেকেই চাকরি ও পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন সোমনাথ। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন পুলিশকর্তা। গত শনিবার তাঁকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশকর্তাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরও যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন বলে খবর, তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কেন্দ্রীয় এজেন্সি গত বছরই গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তদন্তের সূত্রে একে একে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক ও যুব নেতার নামও জড়িয়েছে এই মামলায় যা নিয়ে ঘরে বাইরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। এবার চাকরি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার এক পুলিশকর্তা।
আরও পড়ুন:শরীরচর্চার সময় আচমকাই 'অ্যাজমা অ্যাটাক'! এই সমস্যা এড়াতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?