National Medical College and Hospital:নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ, ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূতিমৃত্যুর রিপোর্ট জমা কমিটির
Mysterious Death: ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল ৫ সদস্যের কমিটি। সূত্রের খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যালে (National Medical College and Hospital) প্রসূতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট (report) জমা দিল ৫ সদস্যের কমিটি (committee)। সূত্রের খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তার (Security) দায়িত্বে থাকা সংস্থার (agency) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (action) নিতে সুপারিশ (recommendation) করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তা ছাড়া এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য শৌচাগার, হাসপাতালের জানলায় নেট লাগানোরও সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন করিডোরে আরও বেশি সংখ্যক সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে খবর।
কী জানা গেল?
এক জন প্রসূতি হাসপাতালের ৫ তলা থেকে পড়ে গেলেও তাঁর দেহ কারও নজরে এল না কেন? প্রশ্ন তোলা হয়েছে রিপোর্টে। তার পরই সংযোজন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার নজরদারিতে গাফিলতি ছিল। গতকালের ওই ঘটনার পর হইচই শুরু হলে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, আধিকারিকরা। পাশাপাশি হাসপাতালের জানলাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, সেগুলিও দেখার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে।
কী ঘটেছিল?
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে এক প্রসূতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গত কাল। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা, ৩২ বছরের আছিয়া বিবি গত বুধবার হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিনই তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, গতকাল দুপুর ১টা থেকে তাঁকে বেডে পাওয়া যায়নি। এর পরই খোঁজ শুরু হয়। বেনিয়াপুকুর থানায় দায়ের করা হয় নিখোঁজ ডায়েরি। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের পিছন থেকে আচিয়া বিবির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, কুকুর, ইদুরে খুবলে খাওয়ার চিহ্ন রয়েছে শরীরে। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। নজরদারিতে গাফিলতির পাশাপাশি খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। মায়ের সঙ্গে বেডেই ছিল সন্তান। রবিবার দুপুরে ২টো নাগাদ জানাজানি হয়, প্রসূতি বেডে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় বেনিয়াপুকুর থানায়। রবিবার রাতে তাঁর খোঁজ মেলেনি। সোমবার সকালে এক নিরাপত্তারক্ষী মহিলাকে প্রসূতি বিভাগের পিছনে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। এর পরই হাসপাতালে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার।
আরও পড়ুন:'দিদি ওনার সঙ্গে নেই, কারণ, উনি টাকাপয়সার ভাগ দেননি', পার্থ ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ