Messy Messi : জিভ কাটো লজ্জায়

সুমন দে
জিভ কাটো লজ্জায় ।
গুন্টার গ্রাসের Show Your Tongue-বইয়ের প্রচ্ছদটা আজও চোখে ভাসে । আর আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের লজ্জার মুহূর্তগুলো যত তাড়াতাড়ি রাজ্যবাসীর চোখ এবং মাথা থেকে মুছে যায় ততই মঙ্গল। বিরোধীরা মাঝে মাঝেই বলে , এই সরকারের সব থেকে বেশি মুন্সিয়ানা নাকি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে। যে কোনও নন-ইভেন্টকে কীভাবে ইভেন্টে পরিণত করতে হয় , তা নাকি এই সরকার এবং শাসকদল বোঝে । কিন্তু দুর্ভাগ্য, আজকের পর আর একথা বলার সুযোগ পাবেন না এ রাজ্যের বিরোধীরা।’গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম’-কে (বহুবিজ্ঞাপিত `G.O.A.T‘ ) এনে `গ্রেটেস্ট ইভেন্ট অফ অলটাইম‘ করা দূরের থাক , ন্যূনতম পেশাদারিত্ব ও হ্যাংলামি-রোহিত একটা অনুষ্ঠান করারও যোগ্যতা যে প্রশাসকদের নেই, তা আজ আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। হুবহু ঋত্বিক রোশনের মত দেখতে মেসির মূর্তি(!), নেতা-মন্ত্রীদের মেসির পাশে ছবি তোলার নির্লজ্জ হ্যাংলামি, পরিকল্পনাহীন ব্যবসায়িক স্বার্থ--এ সমস্ত কিছুর সামনে আজকে সাধারণ মানুষের আবেগ বড় ধাক্কা খেল! দর্শকরা চূড়ান্ত বঞ্চিত হলেন। সবচেয়ে বড় কথা কলকাতার নাম ডুবল।

হাজার-হাজার টাকা খরচ করে টিকিট কেটে সাত-সকালে নীল-সাদা জার্সি পরে যারা ময়দানে গেছেন, তাদের ফুটবলের ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই। যাদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাতে হবে, প্রাক্তন এক বিচারপতিকে মাথায় রেখে সরকারের তৈরি করা তদন্ত-কমিটি কি তাদের বিরুদ্ধে একটাও প্রশ্ন তুলতে পারবে ? সংশয় আছে, তবে যদি পারে সাধুবাদ জানাব।
শেষে এটাও বলতে হবে, হ্যাঁ, স্টেডিয়ামে ভাঙচুর-আগুন ধরানো অন্যায়। খেলার মাঠে বিশেষ পতাকা হাতে প্রবেশ করা বড় অন্যায়। পুলিশকে মারধর করা আরও বড় অন্যায়। কিন্তু ফুটবলপ্রেমী বাঙালির আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করা যে সব থেকে বড় অন্যায় !
যতদিন না আয়োজকরা যোগ্য হচ্ছেন, মেসিদের নিয়ে টানাটানি করাটা এবার বন্ধ হোক। নয়তো আবার লজ্জায় জিভই কাটতে হবে। পরের বারও !

মতামত লেখকের নিজস্ব।





















