Cooch Behar: ফুলবাড়িতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫ জন
Cooch Nehar News: বিজেপির দাবি দলেরই অনেকে প্রধানকে মেরে নিতে পারেনি। তাই তৃণমূলে ফেলেছেন তবে অন্য পঞ্চায়েত সদস্যরা মনে প্রাণে বিজেপিতেই আছেন তাদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তুফানগঞ্জের অন্দরন ফুলবাড়ি ১ প্রধান সহ ৫ সদস্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর আগে গত নভেম্বর মাসে প্রধানসহ ৫ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আজ তাঁরা পুরনো দলে ফিরলেন। কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। প্রধানের দাবি তৃণমূলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন সমস্যা মিটে যাওয়ায় পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। বিজেপির দাবি দলেরই অনেকে প্রধানকে মেরে নিতে পারেনি। তাই তৃণমূলে ফেলেছেন তবে অন্য পঞ্চায়েত সদস্যরা মনে প্রাণে বিজেপিতেই আছেন তাদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে জমি বিবাদ
জমি-বিবাদের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রঙ্গিবসান গ্রামে দুটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল গ্রামের পল্লি কমিটির মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। ওই দুটি পরিবারের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ রাখলে, আর্থিক জরিমানার ফরমান জারি করে গ্রামে পোস্টারও লাগানো হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, পল্লি কমিটির মাতব্বররা তৃণমূলের। অভিযোগকারীরা বিজেপি করায়, তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। এমনকি, পোস্টার লাগিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে, গ্রামে শীতলা পুজোর ভোগ, প্রসাদও ওই দুটি পরিবারকে দেওয়া যাবে না, কেউ সামাজিক যোগাযোগ রাখলে, অর্থদণ্ড হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পল্লি কমিটি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পল্লি কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। সুরাহা পেতে মহিষাদল থানার দ্বারস্থ হয়েছে ভুক্তভোগী দুই পরিবার।
কী রয়েছে পোস্টারে?
পোস্টারে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে, গ্রামে শীতলা পুজোর ভোগ, প্রসাদও ওই দুই পরিবারকে দেওয়া যাবে না, কেউ সামাজিক যোগাযোগ রাখলে, তাঁকে আর্থিক জরিমানাও করা হবে। পোস্টারের নীচে রয়েছে গ্রাম পল্লি কমিটির নাম।
অভিযোগকারী স্বরূপ ঘোড়ুইয়ের দাবি, তাঁদের চাষের জমি জোর জবরদস্তি জবর দখল করে নেয় পল্লি কমিটি। তিনি বলেন, 'আমি বিজেপি করি। পল্লিবাসী জোর করে জমি জবরদখল করে রেখেছিল। সেটা নিয়ে থানা পুলিশ করেছিলাম। প্রশাসনিক হেল্প পেয়েছিলাম। তাই চাষযোগ্য় জমিতে চাষ করতে দেয় না। জরিমানা করেছিল ১ লক্ষ টাকা। আমার অপরাধ নিজেও জানি না।'
গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রঙ্গীবসান পল্লি কমিটির সদস্য এবং তৃণমূল নেতা সুকুমার পাত্র। তিনি বলেন, 'রাতের অন্ধকারে বদমায়েসি করে এটা করেছে। আমরা থানায় জানিয়েছি। একঘরে কোনও কিছু না। চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। দেয়নি। অপপ্রচারের চেষ্টা। ওঁরা সার্ভে করেছে। পল্লির সবাইকে নিয়ে সংগঠন। এখানে কোনও রাজনৈতিক ভেদ নেই।'