SSC: গ্রুপ ডি-র পরে এবার নবম-দশম, চাকরি গেল ৬১৮ 'অযোগ্য' শিক্ষকের
SSC Case: ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত, সাদা খাতা দিয়েও সার্ভারে কারও নম্বর ৫০, কারও ৫৩! ৯৫২জনের মধ্যে চাকরি বাতিলের পথে ৮০৫জন।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গ্রুপ ডি পরে এবার নবম-দশম, চাকরি গেল ৬১৮ 'অযোগ্য' শিক্ষকের। হাইকোর্টের নির্দেশে সুপারিশপত্র প্রত্যাহার কমিশনের, এবার নিয়োগ বাতিল। সুপারিশপত্র প্রত্যাহারে স্থগিতাদেশ নয়, গতকালই জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। ২০১৬-র ওএমআর শিট দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ ডি-র ১৯১১জনের নিয়োগ বাতিল। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ। ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত, সাদা খাতা দিয়েও সার্ভারে কারও নম্বর ৫০, কারও ৫৩! ৯৫২জনের মধ্যে চাকরি বাতিলের পথে ৮০৫জন, প্রথম ধাপে চাকরি গেল ৬১৮জনের।
প্রেক্ষাপট...
গত মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রুপ ডি'তে ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়। চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, ১,৯১১ জনের জায়গায় ওয়েটিং লিস্ট থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এসএসকে। ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ৬ মার্চের মধ্যে নথি যাচাই করে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের OMR শিটও যদি বিকৃত করা হয়ে থাকে তাদের নামও বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে ১,৯১১ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। প্রয়োজনে ১,৯১১ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে CBI। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। দেশের কোন সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। কোনও ক্ষেত্রেই আদালতের অনুমতি ছাড়া এদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যাবে না। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর যা...
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর মধ্যেই তুমুল হইচই হয়েছে। এই মুহূর্তে এই মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে তীব্র আলোড়ন চলছে। ঘটনাচক্রে এদিন তাঁর জামিনের আর্জি ফের খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেলেই থাকবেন যুব তৃণমূল নেতা। এইদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জেল হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। ইডির দাবি, নতুন করে ১০ জন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ২০০ চাকরিপ্রার্থীর থেক ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন কুন্তল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও মানিক ভট্টাচার্যের নাম করে বিএড-ডিএলএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা আদায় করা হত। চাকরিপ্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা নিতেন কুন্তল, সেই অর্থ আসত পার্থর কাছে, দাবি ইডির। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে পাল্টা দাবি করেছে ইডি। প্রাথমিক থেকে নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতিতেও জড়িত কুন্তল, দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আসার অভিযোগে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নাম সোমা চক্রবর্তী, খবর সূত্রে। সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।