Mamata Banerjee: মমতার পরামর্শে পকোড়ি খাওয়া ছাড়লেন ঝালদার চেয়ারম্যান, ভুঁড়ি কমাতে চলছে প্রাণায়াম
Jhalda Municipal Chairman: ছেলেবেলার পকোড়ি খাওয়ার অভ্যাস তো ছাড়লেনই। পাশাপাশি ওজন ও ভুঁড়ি কমাতে রীতিমতো ব্যায়াম ও প্রাণায়ামও শুরু করলেন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: ছোটবেলা থেকে সাত সকালে 'পকোড়ি' খাওয়ার অভ্যাস ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেই পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ছেলেবেলার পকোড়ি খাওয়ার অভ্যাস তো ছাড়লেনই। পাশাপাশি ওজন ও ভুঁড়ি কমাতে রীতিমতো ব্যায়াম ও প্রাণায়ামও শুরু করলেন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল।
কী বলেছিলেন মমতা?
পুরুলিয়ার বৈঠক থেকে মমতা বলেছিলেন, আপনার ভুঁড়ি যে ভাবে বাড়ছে এ তো আপনি যে কোনও দিন ব্লক করে যাবেন। চেয়ারম্যানের ডায়েট শুনে চোখ কপালে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর। চেয়ারম্যান সকালবেলা পকোড়া খান শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওজন শুনেও বিস্মিত হন। মমতা বলেন, আপনি পকোড়া খাওয়া কমান, এমনিতেই কমে যাবেন। নিশ্চয়ই কিছু তো আছে না হলে এতো বড় মধ্যপ্রদেশ কী করে হল? আপনি একমাস সেদ্ধ ভাত খান। ভাত খাওয়ার পর প্রতিদিন এক কিলোমিটার হাঁটবেন। আমি নজর রাখব। দেখব আপনি মানছেন কি না।
আরও পড়ুন, একমাস সেদ্ধ ভাত খান', ভুঁড়ি কমাতে দলের নেতাকে পরামর্শ মমতার
কী বললেন সুরেশ আগরওয়াল?
দিদির নির্দেশ মেনেই এবার সেই নিয়ম মানছেন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান, এমনটাই জানালেন তিনি। সুরেশ বাবু এদিন বলেন, "আমি সকালে রোজই শরীর চর্চা করি। দিদি বলার পর আর পকোড়ি খাই না। উনি ভালর জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন। আমি মাথা পেতে সেই নির্দেশ নিয়েছি। এর আগে যদিও অনেকেই বলেছিল। এখন পেটটা যাতে কমাতে পারি তাই দেড় ঘণ্টা প্রাণায়ম, ব্যায়াম করছি। এক দুদিনে তো আর বোঝা যাবে না। ১৫ দিন পর নিশ্চয়ই ওজন কমবে। বাড়ির লোকেরাও বেশ খুশি। এই সব কাজের মধ্যে থাকলে শরীরও ভাল থাকবে।"
এদিন দেখা গেল পুরসভায় প্রবেশ করার পরে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে কাজকর্মের অগ্রগতি দেখলেন তিনি। সুরেশ বাবুর বাল্যকালের বন্ধু দেবাশীষ সেন জানান পকোড়ি খেতে ভালোবাসতেন সুরেশ, তবে দিদির পরামর্শের পর তেলে ভাজা খাওয়া বন্ধ করেছেন তিনি।