National Anthem 'insult': জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে আজ কোন কোন বিজেপি বিধায়ককে লালবাজারে ডাক?
National anthem controversy : ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে। পুলিশকে এর ফল ভুগতে হবে। হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা : বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার ( National anthem controversy )অভিযোগে, বিতর্কের জল আগেই গড়িয়েছে লালবাজার পর্যন্ত। বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে, আজ ৫ বিজেপি বিধায়ককে (FIR against five BJP legislators )লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে ( 'insulting' National Anthem at Bengal assembly )। শুক্রবারই কলকাতা পুলিশের তরফে সমন পাঠানো হয় বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক ও মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ফালাকাটার দীপক বর্মন, এবং পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়কে। এই মামলায় মঙ্গলবারও ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ।
শুভেন্দুর পাল্টা হুঁশিয়ারি
শনিবার বিধানসভায় যান লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা। ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি করার পাশাপাশি, CCTV ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তাঁরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মমতা ব্যানার্জির পুলিশের বিরুদ্ধে আমি অনেক দূরে যাব আমি। আড়াই বছর ধরে অনেক গুছিয়ে রেখেছি। ভাল করছে, যা করছে খুব ভাল করছে। এর অনেক ভাল হচ্ছে ... ফল ভুগতে হবে।'
কী কী অভিযোগ?
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বুধ ও বৃহস্পতিবার তাদের বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন পাল্টা স্লোগান দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছে বিজেপি। বিধানসভার তরফে হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে পরপর দু'দিনে দায়ের হয় ২টি FIR। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার সঙ্গে, জাতীয় সম্মানের প্রতি অবমাননা প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। প্রথম FIR-এর ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে তদন্তভার গেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখায়।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ৩ দিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তৃণমূল বিধায়করা। সামিল হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা বিজেপির কর্মসূচিতে, তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে দিতে থাকে চোর চোর স্লোগান দেয় শাসক বিরোধী ২ পক্ষ।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিধানসভায় তৃণমূলের ধর্নাস্থল অর্থাৎ অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধকরণ করে বিজেপি। এ নিয়ে আদিবাসী সমাজকে অপমানের অভিযোগে সরব হন জ্যোৎস্না মাণ্ডি, বীরবাহা হাঁসদার মতো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মন্ত্রী ও বিধায়করা। শনিবার জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা, আদিবাসীদের অপমান ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে, হাজরা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়।
আরও পড়ুন- তিন রাজ্যে বিজেপির হ্যাটট্রিক, বাংলাতেও ঝড় তুলবে গেরুয়া শিবির?