Mahua Moitra: কালী বিতর্কে এবার মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
Mahua Moitra Update: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এফআইআর দায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কলকাতা: কালী বিতর্কে এবার মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) ভোপালে (Bhopal) এফআইআর দায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক: মা কালী বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত এবং দল কোনওভাবে ওই মন্তব্য সমর্থন করে না। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছে বলেও ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছে শাসকদল। যদিও দলের তরফে এই ট্যুইটের পর, মহুয়া মৈত্রও একটি ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, "সঙ্ঘীদের বলছি, মিথ্যা বলে খাঁটি হিন্দু হওয়া যায় না। আমি কোনও সিনেমা বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি। ধূমপান শব্দটিরও উল্লেখ করিনি। আপনাদের বলছি, তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন, মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। জয় মা তারা।'' আর এই বিতর্কের আবহে এবার তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল।
তবে মহুয়া মৈত্রর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেন, মা কালী হিন্দুদের কাছে যুগ যুগ ধরে অশুভ শক্তির বিনাশকারী শক্তির প্রতীক রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মহুয়া মৈত্রর মা কালী সম্পর্কে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একইভাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষও মহুয়া মৈত্রর কড়া নিন্দা করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন।
অন্যদিকে, কালী-বিতর্কে মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের। "তৈরি করা বিতর্ক সম্পর্কে আমি অপরিচিত নই। তা সত্ত্বেও মহুয়াকে যে ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আমি বিস্মিত। মহুয়া যা বলেছেন, তা প্রত্যেক হিন্দু জানেন। দেশজুড়ে নানা রীতিতে পুজো করা হয়। এখন ধর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বললেই কেউ না কেউ আঘাত পায়। আমরা এমনই এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। নিশ্চিত ভাবেই মহুয়া কাউকে আঘাত করার চেষ্টা করেননি। প্রত্যেককে নিজের ধর্মাচারণে সুযোগ দেওয়া উচিত।''