Kajol Sheikh: অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় কাজল শেখ সহ ১৭
Allegation Against Kajol Sheikh: অনুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল সংখ্যালঘু সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় কাজল শেখ সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে নানুর থানায় অভিযোগ, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল সংখ্যালঘু সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় কাজল শেখ-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে নানুর থানায় অভিযোগ। মারধরের ঘটনায় কাজল শেখ সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে নানুর থানায় অভিযোগ করলেন রিঙ্কু। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে বেধড়ক মার
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, 'অভিযোগ করেছে, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুক্রবার বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিলেন। নানুর নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছিলেন। আর তার পরের দিন শনিবার নানুর পার্টি অফিসের ভিতরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নানুর ব্লকের সংখ্যালঘু সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য এবং কাজল শেখের বিরুদ্ধে।
প্রতিবাদ করায় মারধর
রিঙ্কু চৌধুরীর অভিযোগ করেন, তিনি নানুরের তৃণমূল ব্লক পার্টি অফিসে বসেছিলেন। তাকে পার্টি অফিস থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন ব্লক সভাপতি সুব্রত। তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে তিনি প্রথমে মারধর করেন। পরে তার লোকজন মারধর করে। পরে কাজল এসে তাকে মারধর করে। প্রাণে বাঁচতে তিনি নানুর থানায় আশ্রয় নেন।
কাঠগড়ায় কাজল শেখ সহ ১৭
অপরদিকে এই ঘটনার পর রবিবার সকালে রিঙ্কু চৌধুরী নানুর থানায় কাজল শেখ, নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য সহ ১৭ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে রিঙ্কু চৌধুরী জানান, তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাকে প্রানে মারার চেষ্টা করছেন সুব্রত ভট্টাচার্য এবং কাজল শেখ। এর আগেও তাকে একবার প্রানে মারার চেষ্টা হয়ে ছিল। রিঙ্কু জানান, তিনি পুলিশের ডিআইবি এক অফিসার ১০ দিন আগে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন তার উপর হামলা হবে।
আরও পড়ুন, 'কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়', কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি মামলায় ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির
প্রসঙ্গত, জানুয়ারির শেষে, কেন্দ্রীয় দল যাওয়ার আগে ডোমকলে (Domkal) প্রকাশ্যে এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Clash)। তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়ায় হামলার অভিযোগ। হাওড়ার নাজিরগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুব তৃণমূল নেতা আরিফ খানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল গুড্ডু খান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, আর এই গুড্ডু খান হলেন হাওড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন গুড্ডু। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গুড্ডুকে আটক করে পুলিশ।