Anubrata Mandal Arrested: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত, বন্ধ দরজা থেকে ফিরে গেল ধেনু
Cattle Smuggling Case: এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ভিতর থেকে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল বলেই ঠাহর হয়।
কলকাতা:
‘মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলে না জানি কি খেয়ালে;
মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়,
মাঝে মাঝে কুপোকাৎ দাঁতে দাঁত লেগে যায়।’
সুকুমার রায়ের ‘ট্যাঁশ গরুর’ সঙ্গে চেহারায় মিল নেই একেবারেই। ডায়েটের বাহারও ধরা যায়নি ক্যামেরায়। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal Arrested) গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর দরজাতেই হাজির হল অবলা প্রাণী। বাড়ির দরজা তখন বন্ধ। বাইরে থেকে তালা ঝুলতে দেখা না গেলেও, ভিতর দেখে বন্ধ করে রাখা ছিল বলে ঠাহর হয়। তার সামনেই খানিক ক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল একটি গরুকে।
গ্রেফতারির পর পরই অনুব্রতর বাড়ির দরজায় হাজির গরু
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের ওই বাড়ি থেকেই বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে চলে যায় তারা। তার পরও বেশ কিছু ক্ষণ ভিড় জমেছিল বাড়ির চারপাশে। কিন্তু বেলা যত বাড়ে, ততই পাতলা হতে শুরু করে ভিড়। একটা সময় কার্যতই শুনশান হয়ে যায় অনুব্রতর বাড়ির চারপাশ। আর তখনই আগমন ঘটে অবলা প্রাণীটির।
এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ভিতর থেকে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল বলেই ঠাহর হয়। দরজার পাশের দেওয়ালে অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়কাল, বিধি লেখা কাগজ সেঁটে রাখা ছিল। তাতে লেখা, ‘জেলা সভাপতির বাড়িতে সাক্ষাৎ করার জন্য কেউ ভিড় করবেন না। সাক্ষাৎ করার জন্য জেলা পার্টি অফিসে বেলা ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত যোগাযোগ করুন’।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal Arrested: ‘তুমি কেমন কবি, নামের অপমান’, অনুব্রতর বাক্যবাণ থেকে রেহাই পাননি শঙ্খ ঘোষও
তবে অবলা প্রাণী না পড়তে পারে দেওয়ালের লিখন, না রাজনৈতিক উত্তাপ আঁচ করার ক্ষমতা রয়েছে তার। তাই কয়েক ঘণ্টা আগে যে দরজা দিয়ে বেরিয়ে সিবিআই-এর গাড়িতে উঠেছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, সেই দরজার সামনেই এসে দাঁড়ায় সে। খানিক ক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। কয়েক পা এগিয়ে আবার থমকে দাঁড়ায়। কী মনে করে পিছন ফিরে তাকায় একবার। তার পর ফের এগিয়ে যায় সামনের দিকে।
গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত
গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারি আর তার পর পরই তাঁর দরজায় গরুর আগমন, তার নানা ব্যাখ্যাও উঠে এসেছে। কটাক্ষের সুরে বিরোধীরা বলেছেন, পাচারকারীর চোখরাঙানি নেই, তাই গরুও নিরাপদে হাওয়া খেতে বেরিয়েছে বোলপুরের রাস্তায়। ‘পাচারকারী’ অুব্রত থাকাকালীন খুঁটিতে বাঁধা পড়ে থাকতে হতো, এখন গরুর দল মুক্ত বলেও কটাক্ষ করেছেন কেউ কেউ।