Anubrata Mondal : কালই ১৪ দিনের হেফাজতের মেয়াদ শেষ, আজ সিবিআই-এর কোন কোন প্রশ্নের মুখে পড়বেন অনুব্রত?
আজই সিবিআই হেফাজতের শেষ দিন। ফলে বেলা ১১টার পর থেকেই নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে শুরু হবে জেরা।
বীরভূম : গরুপাচার মামলায় ১৪ দিনের হেফাজতের মেয়াদ শেষে আগামীকাল ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আজই সিবিআই হেফাজতের শেষ দিন। ফলে বেলা ১১টার পর থেকেই নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে শুরু হবে জেরা।
বিপুল সম্পত্তি কীভাবে
সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিপুল সম্পত্তি কীভাবে হল, তা নিয়েই মূলত জানতে চাওয়া হবে। একাধিক চালকল, জমি, সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত নথি সামনে রেখে ফের অনুব্রতর আয়ের উত্স জানতে চাইবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
রকেট-গতিতে বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের আয়
সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচার তদন্তে বারবার উঠে এসেছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম। অনুব্রতর কাছে ফের সায়গল সম্পর্কেও জানতে চাইবে সিবিআই। খবর সূত্রের। তাঁদের দাবি, ২০১৪-’১৫, এই একবছরে রকেট-গতিতে বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের আয়। ২০১৫-’১৮, এই ৩ বছরে অনুব্রতর নামে-বেনামে বীরভূম ও কলকাতায় কোটি কোটি টাকায় বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে। গরুপাচার মামলায় আদালতে জমা দেওয়া সিবিআই রিপোর্টে দাবি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করেছে, চালকল, স্টোন ক্রাশার, জমি, বাড়ি, হোটেল-সহ প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে। যা গরুপাচারের কমিশনের টাকায় কেনা হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান।
এছাড়াও তাঁদের অনুমান, গরুপাচারের টাকা নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে । এবার তাদের স্ক্যানারে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৭টি ব্যাঙ্কের ১৮টি অ্যাকাউন্ট। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা ছাড়াও আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে-বেনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, এই সমস্ত সম্পত্তির মূলে গরুপাচারের টাকার লেনদেন। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর একার নামে, তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের নামেও রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। বোলপুরের নীচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়ি ছাড়াও একাধিক চাল কল, রিয়েল এস্টেট সংস্থা ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনুব্রতর স্ত্রী, কন্যা, এমনকি ঘনিষ্ঠদের নাম। বোলপুরে রয়েছে ফার্ম হাউস। শুধু তাই নয়, হাটসেরান্দি গ্রামে অনুব্রতর নিজের প্রাসাদোপম পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের তিন-তিনটি বাড়ি ও একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে মিলেছে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, দাবি সিবিআইয়ের। এই সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির আয়ের উত্স কী, আপাতত সেদিকেই নজর সিবিআইয়ের।