Bangladesh Violence: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতে 'অবৈধ অনুপ্রবেশ', আগরতলায় আটক ৪
Bangladeshi Citizen Detained in Agartala: আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে রেল পুলিশ..
প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ। মঙ্গলবার রাতে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে রেল পুলিশ।
ধৃত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, আকবর আলী, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, আক্রম হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, আগরতলা থেকে কলকাতা কাজের জন্য আসছিল। একই দিনে শ্রীনগর সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক হয় আরও দুই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ত্রিপুরায় অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৯৩০টি গরু-সহ ৬১ কোটি টাকার নেশা সামগ্রী ও সোনা। একই সময়ে রাজ্যের কাঁটাতার দিয়ে ১৬ জন রোহিঙ্গা-সহ ৩৮৪ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে। তাছাড়া শুধু জুলাই মাসেই আগরতলা রেল স্টেশন থেকে মহিলা ও শিশুসহ অবৈধভাবে রাজ্যে আসা ৫০ এর উপর বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা আটক করে।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য় সংরক্ষণ ব্য়বস্থায় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও থমথমে ওপার বাংলা। এখনও চলছে কার্ফু। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় পেট্রোপোলে ভিড় করেছেন বাংলাদেশের বহু নাগরিক। অন্যদিকে সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা হাই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে জ্বলছে ওপার বাংলা। সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ সংস্কারের নির্দেশ দেওয়ার পর প্রশ্ন একটাই এবার কি শান্ত হবে বাংলাদেশ? যদিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধৃত ছাত্র নেতাদের মুক্তি,কার্ফু প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে না দেওয়া হলে, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন, নিট পরীক্ষা রাজ্যের হাতে ফেরানোর প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়, ব্রাত্যর নিশানা, 'হিমশৈল্যর চূড়া মাত্র..'
বাংলাদেশে যখন এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, তখন সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। সোমবার তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন,আমি যেদিন গেলাম সেদিন দেখলাম, প্রচুর লোক মাথায় মোটরবাইকের হেলমেট পরা। হাতে বিশাল বিশাল বাঁশের ডান্ডা। সেইগুলো নিয়ে রাস্তায় ভিড় করছে। রাস্তায় মিছিল করে হাঁটছে একসঙ্গে। এরা কারা আমি জানি না, ছাত্রদের হাত থেকে আন্দোলনটা ছিনতাই করে নিল এরা? আমার ধারণা এরা হচ্ছে বিরোধী পক্ষের বেশিরভাগই বিরোধী পক্ষের লোকজন। কিন্তু তাঁদের মোকাবিলা করার জন্য শাসক দলের লোক ছিল না এটাও আমি বলতে পারব না। প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর পেয়েও দেশে ফিরতে পারেননি বহু বাংলাদেশি নাগরিক। পেট্রোপোল সীমান্তে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তাঁরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।