(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Solar Car : পেট্রোলের খরচ বাঁচাতে সোলার-ইলেকট্রিক চারচাকা ! অভিনব গাড়ি বানিয়ে চমক বাঁকুড়ার ব্যবসায়ীর
Bankura News : রোদ-ঝলমলে দিনে গাড়ি ছুটছে সূর্যের কিরণ পেয়েই। আর তেমনটা না হলে ইলেকট্রিক চার্জে মাত্র ৩৬ টাকা খরচ করলেই ১১০ কিলোমিটার ছুটছে গাড়ি !
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : জ্বালানি জ্বালা ধরায় মাঝেমধ্যেই। গাড়ি চড়তে গিয়ে পেট্রোলের দামে পুড়তে থাকা পকেটের গেরো বদলাতে ভাবছিলেন অন্য কিছু করার কথা। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। নিজের পেট্রোল গাড়িকে বদলে বানিয়ে ফেলেছেন সোলার কার ! সূর্যকিরণে শক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ইলেকট্রিক চার্জেও ছুটছে চারচাকা। বাঁকুড়ার (Bankura) ব্যবসায়ী মনোজিত মণ্ডল। নিজের ছোট পেট্রোল গাড়িকে বদলে বানিয়ে ফেলেছেন সোলার-ইলেকট্রিক কার। রোদ-ঝলমলে দিনে গাড়ি ছুটছে সূর্যের কিরণ পেয়েই। আর তেমনটা না হলে ইলেকট্রিক চার্জে মাত্র ৩৬ টাকা খরচ করলেই ১১০ কিলোমিটার ছুটছে গাড়ি ! সবমিলিয়ে বাঁকুড়া জুড়ে আলোচনায় মনোজিত মণ্ডলের বানানো সোলার-ইলেকট্রিক গাড়ি (Solar Electric Car)।
পকেট ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ইলেকট্রিক সাইকেল থেকে বাইক, আগে বানিয়েছিলেন বাঁকুড়ার কারজুড়িডাঙার বাসিন্দা মনোজিত। ব্যবসা বাড়ায় কেনেন ন্যানো গাড়ি। চারচাকা কিনে যাতায়াতে সুবিধা হলেও পেট্রোলের বাড়তে থাকা দাম বাড়াছিল চিন্তা। তারপরই গাড়ির ভোলবদলের কাজ শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড়ের পর বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হলেও শেষমেশ ২০ দিনের চেষ্টায় মেলে সাফল্য। গাড়ির দামের সঙ্গে সোলার-ইলেকট্রিক হিসেবে গাড়িকে বদলে ফেলতে বাড়তি ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে তাঁকে। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে লাখ দেড়েক মতো। নতুন উদ্ভাবন তৈরির কাজের সময় পাশে পেয়েছেন পরিবার, বন্ধুদের। মনোজিতের বন্ধু পার্থপ্রতিম সাহা বলছিলেন, দারুণ একটা জিনিস বানিয়েছে। একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনই অন্যদিকে কম খরচায় যাতায়াত। আমি তো বলেছি পরে আমাকেও একটা বানিয়ে দিতে।
পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক গাড়িতে সাধারণত গিয়ার সিস্টেম থাকে না। মনোজিতের বানানো সোলার-ইলেকট্রিক কারে রয়েছে সেই ব্যবস্থা। গাড়ির ছাদে লাগানো রয়েছে সোলার প্যানেল। পাশাপাশি মোটর ও চার্জিং সিস্টেমের মাধ্যমে একটি ব্যাটারিতে সৌরশক্তি সঞ্চয় হয়ে অন্য ব্যাটারিতে গিয়ে ছোটে গাড়ি। সোলার-ইলেকট্রিক কার বানানো মনোজিতের দাবি, সরকারে পক্ষ থেকেও এই উদ্ভাবনের জন্য মিলেছে প্রশংসা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তাঁকে ডাকা হতে পারে বলেও বলা হয়েছে বলেই জানালেন তিনি। বেশ কিছু সংস্থার তরফেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যদিও নিজের উদ্ভাবনের পেটেন্ট বা কীভাবে তা তৈরি করেছেন সেই সূত্র কোনও কোম্পানির কাছে বেচতে নারাজ মনোজিত। কোনও সংস্থা যদি একসঙ্গে কাজের সুযোগ দেয়, তাহলে অবশ্যই সেই কাজ তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন- অসুস্থ বাবা, সংসার চালাতে টোটোর হাতল ধরেছে গাইঘাটার ক্লাস নাইনের গায়ত্রী
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial