Bishnupur : গোষ্ঠীকোন্দলে ৩ বছর ঘরছাড়া তৃণমূলের প্রধান-সহ ২০ সদস্য, শিকেয় বিষ্ণুপুরের পঞ্চায়েতের কাজকর্ম
TMC : সমস্যার কথা মানছেন তৃণমূলের প্রধানও। এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।
তুহিন অধিকারী, বিষ্ণুপুর : গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বছর তিনেক ধরে ঘরছাড়া বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান-সহ ২০ জন সদস্য। প্রধানের অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েতের কাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীরা। সমস্যার কথা মানছেন তৃণমূলের প্রধানও। এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গ্রামছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান। শিকেয় উঠেছে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম। এমনই অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল পরিচালিত উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
২০২০ সালের ১ অগাস্ট। বোমা মেরে, কুপিয়ে খুন করা হয় এই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলিকে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধান তসমিনা খাতুনের স্বামী ও স্থানীয় তৃৃণমূল নেতা রহিম মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন। ৩ মাস জেল খাটার পর, ২০২০-র নভেম্বরে জামিন পান বর্তমান প্রধানের স্বামী। কিন্তু, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের খুনের ঘটনার পর থেকেই, গ্রামছাড়া তৃণমূলের বর্তমান প্রধান-সহ ২০ জন কর্মী। নিজের বাড়ি ছেড়ে বিষ্ণুপুর শহরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রধান।
বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তসমিনা খাতুন বলেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ৩ বছর ধরে বাড়িছাড়া। প্রশাসন বলছে যাওয়া যাবে না। এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রধান না থাকায় থমকে গিয়েছে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম।
বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা নিমাই গড়াই বলেন, উন্নয়ন তো কিছুই না, ঘরও কেউ পাই নাই। রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখতেই পাচ্ছেন। সব খারাপ হয়ে পড়ে আছে। প্রধান না থাকার জন্যই হচ্ছে, বাড়িতে গার্জেন না থাকলে যা হয়।
দলের প্রাক্তন প্রধানের খুনের পর, তৃণমূলের বর্তমান প্রধানের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনাকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। যদিও একে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, প্রধান যে নিরাপদ নন তা পরিষ্কার। সাধারণ মানুষের অবস্থাটা চিন্তা করুন। আগে মানুষ বাঁচবে তারপর তো উন্নয়ন।
বিষ্ণুপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব মাল বলেন, প্রধান ঢুকতে পারছেন না বলে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে এমন নয়। বিডিও সাহেব গোটাটাই দেখেন।সমস্যা আছে, প্রশাসন জানে।
এদিকে বিষ্ণুপুরের বিডিও শতদল দত্ত বলছেন, প্রশাসন ওঁকে নিষেধ করছে বিষয়টা এমন নয়। পঞ্চায়েতের কাজে কর্মচারীরা সবাই আছেন। পঞ্চায়েত সমিতি সহায়তা করে।
সামনেই আরেকটা পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সমাধান মিলবে? সেদিকেই তাকিয়ে উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।