Bankura News: ওয়ার্ডে শৌচাগারের নোংরা জল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নরকযন্ত্রণা রোগীদের
নোংরা জলে থইথই করছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, এই অবস্থায় যাঁদের বেড জোটেনি, তাঁদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। রোগীর বেডের কাছ পর্যন্ত যাতে নোংরা জল না পৌঁছয় তার জন্য কাপড়চোপড় দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা।

তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিষণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Bishnupur Super Speciality Hospital) ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকেছে শৌচাগারের নোংরা জল। রীতিমতো নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওয়ার্ড সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার সংস্থা।
চূড়ান্ত অব্যবস্থা: নোংরা জলে থইথই করছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, এই অবস্থায় যাঁদের বেড জোটেনি, তাঁদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। রোগীর বেডের কাছ পর্যন্ত যাতে নোংরা জল না পৌঁছয় তার জন্য কাপড়চোপড় দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা। জলের মধ্যে দিয়েই রোগীকে হুইল চেয়ারে নিয়ে যেতে হচ্ছে আত্মীয়কে! নামেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অথচ আরোগ্য নিকেতনে রীতি মতো নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে রোগীদের। অভিযোগ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে চিকিৎসা।
আতঙ্কে রোগী পরিজনরা: আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছুটি করিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চাইছেন পরিজনরা। বাঁকুড়াবাসীর অন্যতম ভরসাস্থল এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানেই কেন এমন নারকীয় দশা? প্রশ্ন তুলে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বিজেপি নেতা নীরজ কুমার বলছেন, হাসপাতালের দুরবস্থার খবর শুনে নিজেরা এসে দেখলাম। আমরা সুপারের কাছে গেছিলাম, তাঁকে পাইনি। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে বলেছি।
শুক্রবার পাইপলাইন লিকেজের ফলে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নোংরা জল ঢুকে গেছে বলে সাফাই দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ড থেকে নোংরা জল পরিষ্কার করতে কাজে নেমেছে ঠিকাদার সংস্থা, বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।
আগেও একই অভিযোগ: এর আগেও একইরকম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দেখা গিয়েছিল, অস্থায়ী সাফাই কর্মী, ওয়ার্ড বয়দের কর্মবিরতির জেরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। ডাস্টবিনে উপছে পড়া আবর্জনা। নোংরা জলে থইথই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড। ময়লা পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিজনেদের। এর জেরে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরাও।
বেসরকারি ঠিকা সংস্থার অধীনে কর্মরত ওই অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, চলতি মাসে তাঁদের বেতন থেকে দেড়হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদে গতকাল থেকে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্থায়ী সাফাই কর্মী, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। বেসরকারি সংস্থার ঘাড়ে দায় ঠেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা।






















