তৃণমূল নেতা ও পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি
বোমাবাজির নেপথ্যে রাজনীতি না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ব্যারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে তৃণমূল নেতা ও পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। ক্যামেরাবন্দি হয়েছে হামলার ছবি। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ব্যারাকপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রভাত ঘোষের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূল নেতার দাবি, স্কুটার আরোহী তিন দুষ্কৃতী বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। সেইসময় বাড়িতেই ছিলেন ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য। ঘটনাস্থলে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। রাতেই সেখানে যান তৃণমূলের অন্য নেতারাও। বোমাবাজির নেপথ্যে রাজনীতি না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিছুদিন আগে এলাকা দখল নিয়ে প্রধান ও উপ প্রধানের স্বামীর মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির গোঘাটের শ্যামবাজার এলাকা। গতকাল ওই এলাকায় বোমাবাজি হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হন দু পক্ষের ১০-১২ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ জুলাই। প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তোলেন উপ প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। গতকাল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দু’ পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এলেও বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। বিষয়টি দলের উচ্চস্তরে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব।
জানা গেছে, এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। বল্লম, টাঙ্গি নিয়ে একে অপরের ওপরে আক্রমন চালায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন।রক্তাক্ত হন অনেকেই। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গোঘাট থানার বিশাল পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী। সংঘর্ষের জেরে আহত হন শ্যামবাজার এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও অঞ্চল প্রধান সেখ গিয়াস উদ্দিন। আহত হন অপর এক তৃণমূল নেতা ও গোঘাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সেখ শাহাবুদ্দিন। আহত হয়েছেন এখানকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অরুণ পাল। এই অঞ্চলের উপ প্রধানের স্বামী নিতাই চরণ নন্দী,রিয়াজুল মল্লিক,রহমত খাঁ সহ সহ একাধিক নেতা ও কর্মীও জখম হন।