(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Birbhum News: ১০ বছরেও হয়নি সেতু, নাজেহাল বাসিন্দারা
Birbhum Update: ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে বাম আমলে ময়ূরাক্ষীর ওপর এই সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। এখনও হয়নি সেতু।
পরিতোষ দাস, বীরভূম: এক দশক কেটে গিয়েছে, কিন্তু সেতু (Bridge) হয়নি। দশ বছরেও বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরাক্ষী নদীর উপর শেষ হয়নি সেতুর কাজ। একটা সেতু তৈরিতে এতদিন কেন লাগবে? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের। গোটা ঘটনায় শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
শিলান্যাস বাম আমলে:
ময়ূরেশ্বরের আমড়া এবং লাভপুরের গুনুটিয়ার মাঝে বইছে ময়ূরাক্ষী নদী।
২০০৯-১০ অর্থবর্ষে বাম আমলে ময়ূরাক্ষীর ওপর এই সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। তারপর ২০১১ সালে রাজ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। কিন্তু তারপর এক দশক কেটে গেলেও তৈরি হয়নি ওই সেতু। বারো বছর ধরে চলছে বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর এই সেতু তৈরির কাজ। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতু না হওয়ায় নৌকার উপরেই ভরসা করতে হয় তাঁদের।
বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা করুণাসিন্ধু দাস বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে। নৌকা করে নদী পেরোতে হয়। ব্রিজটা হলে আমাদের সুবিধা হবে।' আর এর বাসিন্দা দিলীপ রায়ের প্রশ্ন, 'এতদিন ধরে পড়ে রয়েছে ব্রিজ। তাড়াতাড়ি হলে ভাল হয়।'
তৃণমূলকে তোপ বিজেপির:
কাটমানির জন্যই কাজ হচ্ছে না। অভিযোগ বিজেপির (BJP)। বোলপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, 'কাটমানির সমস্যার জন্যই সেতুর কাজ ধীরগতিতে চলছে। তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নির্মাণ সংস্থার একটি যোগসাজশ রয়েছে, শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের মনোরঞ্জন করাতেই নির্মাণ সংস্থার টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর তার ফলেই ১০-১২ বছরেও সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে উঠছে না।'
পাল্টা দাবি লাভপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের। তিনি বলেন, 'সেতু নিয়ে বীরভূম জেলা পূর্ত স্থায়ী সমিতিতে আলোচনা করা হয়েছে, যাতে ওই সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারে তার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়ার পরেও যদি ওই সংস্থা কাজে কোনো গাফিলতি করে তবে ওই সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্ট করা হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এই ব্রিজের কাজ শেষ করার জন্য জানানো হয়েছে)
জুন মাসের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থাও। ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক বাগ বলেন, 'একটু বৃষ্টি হলেই এখানে কাজ করতে সমস্যা হয়। বন্যার কারণে ৩-৪মাস কাজ আটকে যায়।'
আরও পড়ুন: যানজটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, বেহালায় রাস্তার মাঝখান থেকে সরানো হল হনুমান মন্দির