Rampurhat Fire: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যালীলা, কী বলছেন বিশিষ্টজনেরা?
তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপ প্রধান খুন।তারপর গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন। বন্ধ ঘরের মধ্যে পুড়ে খাক শিশু, মহিলা-সহ ৮ জন। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বিভীষিকাময় হত্যালীলায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যালীলার সমালোচনায় সরব হয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় থেকে বিভাস চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্টজনেরা। তবে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো এবার কী তাঁদের পথে নামতে দেখা যাবে? উত্তরে শুভাপ্রসন্ন জানালেন, দুই ঘটনা এক নয়।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপ প্রধান খুন।তারপর গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন। বন্ধ ঘরের মধ্যে পুড়ে খাক শিশু, মহিলা-সহ ৮ জন। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বিভীষিকাময় হত্যালীলায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এই হত্যালীলায় কী বলছেন বিশিষ্টজনরা? সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “শরীর মন শিউরে উঠছে, এর থেকে মর্মান্তিক কী ঘটতে পারে। এর নিন্দার ভাষা নেই।’’ নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী বলছেন, “বাঙালি হিসেবে খুবই লজ্জা করে। এরকম হওয়ার কথা ছিল না।’’
বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া: কিন্তু, নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, রামপুরহাট হত্যালীলার প্রতিবাদে কেন পথে নামছে না বিদ্বজ্জনেরা? কেন সোচ্চার প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন না তাঁরা? চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়, “প্রশাসন সবসময় সদা জাগ্রত। মমতার সরকার এটা বরদাস্ত করবে না। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আলাদা বিষয় ছিল। তখন পথে নেমেছিলাম। আমরা তো রুদালী নই, কিছু হলেই রুদালী হয়ে যাব। সেটা ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এর সঙ্গে তুলনা চলে না।’’ নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই সময়টা যে এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে ভাবিনি। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম - এক্ষেত্রে কী কতটা বেরিয়ে- কাগজ ছাড়া জানতে পারছি না। দেখতে হবে ওখানকার লোক কী বলছেন, সিউড়ির লোকেদের বক্তব্য কী।’’
পরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, নৃশংস। পৈশাচিক। বাঙালি হিসাবে লজ্জিত। এখন সার্জারি হয়েছে, তাই পথে নামার প্রশ্ন নেই। তবে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করছি। চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী বলেন,”এই ঘটনা এখনও অস্পষ্ট। রাজনীতি আছে না অন্যকিছু জানি না। এই ধরণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।’’ রামপুরহাট হত্যালীলা প্রসঙ্গে সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনের আবার দাবি, তিনি কিছু জানেন না। কোনও মন্তব্য করবেন না।
তবে রামপুরহাট হত্যালীলায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-কৌশিক সেনরা। অভিনেতা কৌশিক সেনের কথায়, “এই সব ঘটনার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয় জড়িয়ে আছে। প্রশাসন যদি কড়া হাতে দমন করতে না পারে, তাহলে শাসকদলের পক্ষে খারাপ।’’ বিদ্বজ্জনদের তরফে জনমঞ্চের নামে একটি বিবৃতি জারি করে নরসংহারের রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: 'পুলিশ রয়েছে, তা-ও জ্বলছি', জতুগৃহ থেকেই মেয়েকে ফোন মহিলার, অধরা বহু প্রশ্নের উত্তর