(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Dilip Ghosh : দলটাকে ব্যান করে দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া উচিত, তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
Election Commission on TMC : ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেটাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : ৪ রাজ্যে 'স্টেট পার্টি' (State Party) থাকার শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যে প্রেক্ষিতে ঘাসফুল শিবিরকে কড়া আক্রমণ শানিয়ে 'দলটাকে ব্যান করে দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া উচিত' বলেই কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির যে কটাক্ষের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও।
দিলীপের আক্রমণ, কটাক্ষ তৃণমূলের
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের খোঁচা, 'প্রচুর টাকা খরচ করলেও কেউ ভোট দিচ্ছে না ওদের। একটা একটা ভোটের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও ভোট পাননি। ভোটের শতাংশ কমে যাওয়ার জেরে সর্বভারতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেই তো অস্বিস্ত রক্ষার লড়াই করতে হবে এবার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, সর্বভারতীয় দল হওয়ার স্বপ্ন, দিল্লি জয়ের স্বপ্ন আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে। দলটাকে ব্যান করে দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া উচিত।' যার পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বিভিন্ন রাজ্যের কিছু পরিসংখ্যানে জাতীয় দলের তকমা আসে, আবার চলেও যায়। পরের নির্বাচনের পরই হয়তো তকমা ফের ফিরে আসবে। বিষয়টা নিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্ব যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। দল আইনি পথে যেতেও পারে। তবে যারা তকমা যাওয়াতে উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাইব বাংলা তৃণমূলের দুর্গই থাকবে। যারা লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গে বাংলার সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।'
ধাক্কা পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে ধাক্কা। জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং ত্রিপুরা এই চার রাজ্যে স্টেট পার্টি বা রাজ্য দলের তকমা পাওয়ায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এর বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের। এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় বাংলার শাসকদল।
ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শূন্য হাতে ফিরতে হয় তাদের। প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল নোটার থেকেও কম, ০.৮৮ শতাংশ। গোয়া বিধানসভা ভোটে মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। একটিও আসনে জিততে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে, ৪ রাজ্যে স্টেট পার্টি বা রাজ্য দল হওয়ার শর্তপূরণ করতে না পারাতেই জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- আদালতে যেতেই মিলল স্বীকৃতি, জাতীয় দল হয়ে ’২৪-এর দৌড়ে এগিয়ে গেল AAP