BJP Nabanna Abhijan: লালবাজারের কাছেই পুলিশের গাড়িতে আগুন, পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র এলাকা
BJP Nabanna Rally: আগুনে কবলে পুলিশের গাড়ি। সম্পূর্ণ ভস্মীভূত গাড়িটি। আতঙ্ক গোটা এলাকায়।
কলকাতা: হাওড়া থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গঙ্গার এপাড়েও। হাওড়া ব্রিজের কাছে দিলীপ ঘোষের মিছিল আটকানোর পর মহাত্মা গান্ধী রোডে তুমুল উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এম জি রোডের উপর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পুলিশের গাড়ি। তার আগে লাঠি-ইটবৃষ্টিতে আহত হন বেশ কয়েকজন। কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে খবর। মিছিল থেকে অজস্র ইটবৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্দোলনরত বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। >>
পুলিশের গাড়িতে আগুন:
পুলিশের পিসিআর ভ্যানে আগুন। অয়েল ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা। সেখান থেকে তেল নিয়েই কী আগুন? উঠছে এমনই অভিযোগ। জল দিয়ে আগু নেভান দমকলকর্মীরা। তারপরেই মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসের বাইরে তুমুল ধস্তাধস্তি। তিন আইপিএসের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী যায় ওখানে। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালিয়ে ওখানেই দুষ্কৃতীরা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। গলির মুখে পুলিশবাহিনী ও বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। পুলিশের দিকে জল-ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা।
পুলিশের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালিয়ে এখানে এসেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের ধরতে গেলেই নতুন করে ঝামেলা শুরু হয়। বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী ও পুলিশ কর্মীরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাথরও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
আতঙ্কে গোটা এলাকা:
গাড়িতে আগুন লাগায় তটস্থ ওই এলাকায় ব্যবসায়ীরা। ওই এলাকায় প্রচুর দোকানপাট রয়েছে। আগুন লাগার ঘটনার পর দোকান বন্ধ করে পালাতে দেখা গিয়েছে অনেক ব্যবসায়ীকে। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের অনেককেই।
উত্তপ্ত সাঁতরাগাছিও:
বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমে সাঁতরাগাছিতে পুলিশের গার্ড রেল টপকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাচের বোতল, ইট, পাথর, বাঁশ। গার্ড রেল ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় পুলিশের কিয়স্ক। পাল্টা জল কামান ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তারপরে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি। পরপর পাথর ছোড়া হয় পুলিশের দিকে। তাণ্ডবের কারণে পিছু হঠে পুলিশ। গোটা এলাকা চলে যায় বিক্ষোভকারীদের দখলে।