Gold Smuggling: ফের সাফল্য বিএসএফের, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২.১৯ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার পাচারকারী
Indo Bangladesh Border : বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার ওজন ৩.৫৬ কেজি। যার আনুমানিক মূল্য ২,১৯,৬১,২০০/- টাকা।
সমীরণ পাল, বিজয়পুর সীমান্ত চৌকি : ফের সাফল্য বিএসএফের। নদিয়া জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সোনা চোরাচালানের চেষ্টা বানচাল করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ১৯টি সোনার বিস্কুট-সহ ((বিস্কুট এবং একটি সোনার ইট) এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করা হল। চোরাকারবারী সোনার বিস্কুট ও সোনার ইট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার ওজন ৩.৫৬ কেজি। যার আনুমানিক মূল্য ২,১৯,৬১,২০০/- টাকা। ধৃত চোরাকারবারীর নাম মিঠুন বিশ্বাস। সে নদিয়ার বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিএসএফ-এর মুখপাত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গতকাল বিজয়পুর সীমান্ত চৌকির সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা সোনা চোরাচালানের বিষয়ে খবর পান। তার ভিত্তিতে জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক কিলোমিটার দূরে প্রস্তুতি শুরু করেন। ১২টা ২০ মিনিট নাগাগ বিএসএফ কর্মীরা একটি সাইকেলে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আসতে দেখেন। কাছেপিঠে পৌঁছতেই জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলেন। তল্লাশি করে তার কোমরে বাঁধা একটি কাপড়ের বেল্ট থেকে ১৯টি সোনার বিস্কুট ও ১টি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়। এর পরে, জওয়ানরা পাচারকারীকে হেফাজতে নিয়ে সোনা বাজেয়াপ্ত করে।
ধৃত ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে গত কয়েকদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সে বিজয়পুর গ্রামে বসবাসকারী দুই ব্যক্তির কাজ করে। আজ তার সঙ্গে আরও দুই জন লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল। বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা শিন্তো মণ্ডলের কাছ থেকে সে এসব জিনিস নিয়েছিল। এই সোনা গ্রামের অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তার। কিন্তু, তার আগেই পথে তাকে সোনা-সহ ধরে ফেলে বিএসএফ।
এরপর ধৃত ব্যক্তি ও বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনপুরে শুল্ক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। জওয়ানদের এই কৃতিত্বে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দুই দিনের মধ্যে বিএসএফ জওয়ানরা ৫.২৯ কোটি টাকা মূল্যের মোট ৪.৩৯ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ২ জন চোরাচালানকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কুখ্যাত চোরাকারবারীরা দরিদ্র ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত পাচারকারী চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়। তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে।
তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেন যে তাঁরা যদি সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য পান তা যেন বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ জানান। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা স্বর্ণ চোরাচালান সম্পর্কিত ভয়েস বার্তাও পাঠানো যেতে পারে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে একটি পুরস্কার দেওয়া হবে। পরিচয় গোপন রাখা হবে।