Uttar Dinajpur:বেতন বাকি রাখার 'অপবাদে' তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ, বাধা দিলে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ ২ জনকে
Extortion In Islampur:বেতন বাকি রাখার 'অপবাদ' দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় এলোপাথাড়ি ছুরির কোপে আহত ব্যবসায়ীর ভাগ্নে-সহ ২ জন।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: বেতন বাকি রাখার 'অপবাদ' দিয়ে ব্যবসায়ীর (Businessman Attacked) কাছ থেকে তোলা (Extortion)আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় এলোপাথাড়ি ছুরির কোপে আহত ব্যবসায়ীর ভাগ্নে-সহ ২ জন। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের (Islampur) বীজহাট্টি এলাকার ঘটনা। ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুই অভিযুক্তই পলাতক।
কী ঘটেছিল?
সাতসকালে রক্তারক্তি! বকেয়া বেতনের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা পুরনো কর্মচারীর। ছুরির কোপে আহত ব্যবসায়ীর ভাগ্নে সহ ২ জন। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর শহরের বীজহাট্টি এলাকায়। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। সূত্রের খবর, রতন সাহা নামে স্থানীয় এক কাপড়ের ব্যবসায়ীর দোকানে কাজ করতেন তৌফিক নামে এক যুবক। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বেতন বকেয়া আছে এই দাবি করে, টাকা আদায়ের জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন ওই যুবক। সম্প্রতি তাঁর বন্ধু সাহিলও বকেয়া আদায়ের নাম করে তোলা চাইতে শুরু করে। শনিবার সকালে তৌফিকের বন্ধু দোকানে হামলা চালায়। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ব্যবসায়ীর ভাগ্নে ও আরও একজন। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ইসলামপুর থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তই পলাতক। তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে আক্রমণের অভিযোগ আগেও শোনা গিয়েছে এ রাজ্য়ে। গত বছর মে মাসে খাস কলকাতায় এই ধরনের এক ঘটনার কথা শোনা যায়।
মনে পড়ছে কলকাতার ঘটনা...
তোলা না দেওয়ায় একেবারে ভরদুপুরে বেলেঘাটায় ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সে বার। অভিযোগ রুজু হলে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আক্রান্তের দাবি, তোলা না দেওয়ায় ঘটনার দিন দুপুরে প্লাইউড ব্যবসায়ী অনির্বাণ সাহাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। মাথা, বুক, পায়ে গুরুতর আঘাত নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয় ব্যবসায়ীকে। এই ঘটনায় উত্তম দাস ও বিভাস দাস নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। বস্তুত রাজ্যে নানা সময়ে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের বিপত্তির অভিযোগের কথা শোনা যায়। হালে যেমন হাওড়ার মঙ্গলাহাট পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দানা বেঁধেছে। শনিবার মঙ্গলাহটের পরিস্থিতি দেখতে যান ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির। সেখানেই তাঁর দাবি ছিল, "প্রোমোটিং চালানোই লক্ষ্য। তাই যে ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তাঁদের তোলার চক্রান্ত চলছে।" রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তদন্তভার উঠেছে। তবে মঙ্গলহাটে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্য়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উস্কে দিলেন নৌশাদ। তাঁর বক্তব্য, "আগুন যখন লাগে, তখনই আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে, হাওড়ায় ফাঁকা জায়গা তেমন নেই। দীর্ঘদিন ধরেই তাই এটা (মঙ্গলাহাট) টার্গেট।"
আরও পড়ুন:ভোট শেষ, জল 'বন্ধ'! ৪ হাজার টাকা দিয়ে পুরসভা থেকে কিনতে হচ্ছে পানীয় জল