C V Ananda Bose On Firhad : 'গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে থেকে কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?' চিঠি রাজ্যপালের
C V Ananda Bose Letter : রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লিখলেন, 'মন্ত্রী-মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?'
কলকাতা : রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত আরও তুঙ্গে উঠেছে ইদানীং ! সাম্প্রতিককালে ফের একাধিক বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস ( C V Ananda Bose ) । এবার ফিরহাদ হাকিমকে ( Firhad Hakim ) নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই মেয়রকে নিশানা করলেন তিনি। তুললেন অভিযোগের আঙুল।
রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লিখলেন, 'মন্ত্রী-মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?'। ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি কলকাতার মেয়রও। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানতে চান, একজন ব্যক্তি এরকম গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে থেকে কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ?
গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন।
গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০। পুজোর মুখে শেষ বর্ষায় রাজ্যে ভয়াবহ দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! লম্বা হচ্ছে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের তালিকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অভিযোগ, 'ডেঙ্গিতে মৃত অনেকের পরিবার পুরসভায় ফোন করেও মেয়রের খোঁজ পাননি'। এমনকী তিনি এও লিখেছেন যে, 'পুরসভায় ফোন করলে তাঁদের বলা হচ্ছে, মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে খোঁজ নিলে বলা হচ্ছে, পুরমন্ত্রী কলকাতা পুরসভায় আছেন ...রাজভবনের পিস রুমে এনিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। কলকাতার মেয়র নিখোঁজ' বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন অনেকে', অভিযোগ সিভি আনন্দ বোসের।
২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ১৪০। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেককে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে অনেক রোগীর পরিবার থেকে। সেইসঙ্গে এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অনেক এলাকার মানুষের অভিযোগ রয়েছে। সেই আবহেই রাজ্যপালের এই চিঠি।
রাজ্যের ডেঙ্গির ত্রাসের মাঝেই মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছিলেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র। তবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সেই তিমিরেই। প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে পথে নেমেছে বিজেপিও। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে রবিবার কলেজ স্ট্রিটে ৫ নম্বর বরোর অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এর আগে গত সপ্তাহেই স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু অধিকারীও বিক্ষোভ দেখান স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। স্মারকলিপি দিতে গেলে বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের পত্রবাণ।