Canning Update: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত ক্যানিং ব্লক প্রশাসন ও বাজার সমিতির
Canning Update: শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে টানা দু'দিন ১৮ হাজারের ওপরে রইল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন।
শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। প্রত্যেকদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনা রুখতে আগামীকাল থেকে চারদিন বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ক্যানিং (Canning) ব্লক প্রশাসন ও ক্যানিং বাজার সমিতি।
দিন দুই আগেই এমন সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ দমদম পুরসভাও। করোনা পরিস্থিতিতে তিনদিন বাজার-দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ দমদম পুরসভা। ঠিক করা হয় মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে বাজার-দোকান। কোনও ব্যবসায়ী এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেয় পুরসভা।
একই পদ্ধতিতে করোনা ঠেকাতে উদ্যোগী হল ক্যানিং ব্লক প্রশাসনও। আগের দিনই ক্যানিং বাজারে ধরা পড়ে বিধিভঙ্গের ছবি। কোথাও ব্যবসায়ীর মুখে মাস্ক নেই তো কোথাও মাস্কবিহীন অবস্থায় বাজারে ঘুরছেন ক্রেতারা। প্রশাসনিক নজরদারিও চোখে পড়েনি সেভাবে। তবে এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে তৈরি ক্যানিং ব্লক প্রশাসন ও ক্যানিং বাজার সমিতি।
আরও পড়ুন: Purba Burdwan News: কাটোয়ায় 'নো মাস্ক, নো সেল' স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার প্রশাসনের
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এই নিয়ে টানা দু'দিন ১৮ হাজারের ওপরে রইল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৫৯। এদিন করোনা কোপে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু বেড়ে হল ১৯ হাজার ৮৮৩। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১১২ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮২১ জন। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ৫৫ জন। গতকালের তুলনায় ১০ হাজার ৬৭১ বৃদ্ধি পেয়েছে। লাফিয়ে বেড়েছে পজিটিভিটির হার। শনিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, পজিটিভিটি রেট ২৯.৬০ শতাংশ। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৩৩৭ জন। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৮৬ জন। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ।