Jiban Krishna Saha: কোটি কোটি টাকা, বহু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জীবনকৃষ্ণ সাহার 'বিপুল সম্পত্তির হদিশ' পেল CBI
Jiban Krishna Saha Property : সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : গ্রেফতারের পর, এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর স্ত্রী টগরী সাহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
সম্পত্তির খতিয়ান
বিপুল এই সম্পত্তির মধ্যে বিধায়কের নামে ৪টি ও তাঁর স্ত্রীর নামে ৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কত টাকা রয়েছে এবং লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, বীরভূমেও জীবনকৃষ্ণের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে গরু পাচারকাণ্ডেরও যোগ মিলেছে। অনুব্রতর নির্দেশে জীবনকৃষ্ণ এই কাজ করতেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি।
৮-১০ কোটি টাকার সম্পত্তি
এছাড়াও সিবিআইয়ের নজরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সম্পত্তি। সূত্রের খবর, বীরভূমের সাঁইথিয়া, তালতোড়, তাতারপুর, বাঁধগোড়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের আন্দিতে বিধায়ক ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮-১০ কোটি টাকা। এছাড়া, জীবনকৃষ্ণের আর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা সম্পত্তি রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
মুর্শিদাবাদের আন্দিতে, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ম্য়ারাথন তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। তাঁর বাড়িতে, দোকানে, পুকুরে, বাগানে, ঝোপে-জঙ্গলে, তথ্য-প্রমাণের খোঁজে চলে চিরুণি তল্লাশি! তল্লাশি ঘিরে যে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল, তা কার্যত বেনজির! সিবিআইয়ের দাবি, প্রথম থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন বড়ঞার বিধায়ক।
আরেকদিকে, আঁটঘাঁট বেঁধে তৈরি হচ্ছিল সিবিআই।
রবিবার রাত ২টো ৩৫ মিনিটে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন আরও সিবিআই অফিসার। এরপরই গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। গতবছরের ২৩ জুলাই, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেই প্রথম কোনও মন্ত্রী বা বিধায়কের গ্রেফতারি। গ্রেফতার করা হয় পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। এরপর ১১ অক্টোবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয় বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।